বিএনএ ঢাকা: বন্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এর সঙ্গে বসবাস করা শিখতে দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমেছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। দুর্যোগের কারণে দেশের উন্নয়নের চলমান গতি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। সরকার অতীতের প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে এর ঝুঁকি কমিয়ে আনা ও অগ্রিম প্রস্তুতির জন্য দক্ষ জনবল তৈরির করতে ট্রেনিং, আধুনিক যন্ত্রপাতি, ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দুর্যোগ বন্ধ করা যায় না তবে মোকাবেলা করার সঠিক প্রস্তুতি থাকলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে জণগনকেও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এই অঞ্চলের মানুষ ভবিষ্যতে যাতে কোনো কষ্ট না পায়, সেজন্য ২১০০ সালের বদ্বীপের উন্নয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে সব নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। আগামি বছরের মধ্যে ৫১০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৪ হাজার ৮৮৩ কিলোমিটার খাল খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এসব কাজে মানুষের বসতবাড়ি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশের মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হয়। এজন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি দুর্যোগের ঝুঁকি এড়াতে সাধারণ মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। বিএনপি সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ‘৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে দেশে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
সে সময় দুর্যোগকালীন স্বেচ্ছাসেবকদের বিশেষ অবদানের জন্য তাদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা তুলে দেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
এর আগে, ডিজিটাল মাধ্যমেই কক্সবাজারে দুর্যোগের সময় করণীয় ও প্রস্তুতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত মহড়া উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি