বিএনএ ডেস্ক: ঢাকের বাদ্য আর উলুধ্বনি-শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত দেশের পূজামণ্ডপগুলো। চারদিকে বইছে উৎসবের জোয়ার। আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী। এ দিনের অন্যতম আনুষ্ঠানিকতা কুমারী পূজা। মহামারি করোনার কারণে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনসহ রাজধানীর কোনও মন্দিরেই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়নি।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই মন্দিরে ও মণ্ডপে চলছে মহাঅষ্টমীর বিহিত পূজা। বিধিসম্মতভাবে অষ্টমীবিহিত পূজা করে দেবী দুর্গার কৃপা প্রার্থনা করছেন ভক্তরা।
মহাঅষ্টমী তিথিতে দেবীকে মহালক্ষ্মী হিসেবে সম্পদ, স্থায়িত্বশীলতা, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে পূজা করা হয়। পূজার শেষে দেবীর উদ্দেশ্যে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করেন পূজারীগণ।
মহাঅষ্টমীতে রাত ১১টা ৫৪ মিনিটে সন্ধি পূজা শুরু হবে এবং শেষ হবে রাত ১২টা ৪২ মিনিটে। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় মন্ত্রোচ্চারণ আর ১০৮টি প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে দেবীর মুখশ্রী। ঢাকের বাদ্য আর উলুধ্বনিতে ছড়িয়ে পড়বে ভক্তি আর উৎসবের বার্তা। কারণ এদিন মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন দুর্গতিনাশিনী মাহামায়া। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মহানবমীতে দেশের প্রতিটি মণ্ডপে দেবীর মহা প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
গত সোমবার মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমী তিথিতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দোলায় চড়ে আবারও কৈলাশে ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা। এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি