বিএনএ : বাংলাদেশসহ এশিয়ার বেশি কিছু দেশে খারাপ নজর থেকে বাঁচাতেছোট শিশুদের কাজল পরানোর চল রয়েছে। মাথায় বা কপালে টিপ দেওয়ার পাশাপাশি অনেক বাবা-মা সন্তানের চোখেও কাজল লাগান। তবে, বর্তমানে শিশু বিশেষজ্ঞরা ছোট শিশুকে কাজল পরানোয় ঘোর বিরোধী। কাজলে থাকা সীসা মারাত্মক হতে পারে শিশুর স্বাস্থ্য। পাাপশাপাশি প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে শিশুদের স্নায়ু বেশি কাজ করে। তাই তাদের ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশি।
কেন বাচ্চাকে কাজল পরাবেন না?
কাজলে সীসা ব্যবহার করা হয়। এটি কিডনি, মস্তিষ্ক, বোন ম্যারো-র পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোতেও খারাপ প্রভাব ফেলে। রক্তে সীসার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একজন মানুষ কোমায় চলে যেতে পারে। এমনকী, মৃত্যুও হতে পারে। তাই নবজাতকের শরীরের কোথাও, কোনওভাবেই কাজল ব্যবহার করা উচিত নয়।
ঘরে পাতা কাজল কি তবে নিরাপদ
ঘরে পাতা কাজলে রাসয়নিক উপাদান মেশানো হয় না। এটিকে প্রাকৃতিক বলা যেতে পারে। তবে ঘরে কাজল পাতলেও তাতে কার্বনের উপস্থিতি থাকবেই। যা বাচ্চার চোখের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আঙুল দিয়ে চোখে কাজল পরানোর সময় আঙুলে লেগে থাকা ময়লা থেকেও চোখে সংক্রমণ হতে পারে।
প্রচলিত ধারণা এবং আসল সত্য :
প্রচলিত ধারণা: দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
সত্য হচ্ছে: এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
প্রচলিত ধারণা: কাজল লাগালে শিশুরা দীর্ঘক্ষণ ঘুমায়।
সত্য হচ্ছে : নবজাতকরা এমনিতেই দিনে ১৬-১৭ ঘণ্টা ঘুমোয়। ১ বছর অবধি বাচ্চারা দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমোয়।
প্রচলিত ধারণা: কাজল ব্যবহারে চোখের পাতা বড়বড় হয়
সত্য হচ্ছে : এটি অযৌক্তিক।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।