29 C
আবহাওয়া
৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ - জুন ১০, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » বরিশালের বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা

ইউএনও’র বাসভবনে হামলা: দুই মামলার প্রধান আসামি মেয়র সাদিক

বিএনএ, বরিশাল: গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বরিশাল ক্লাবের সভাপতির পদ দখল ও পদ না ছাড়ার ঘোষণায় বিদায়ী সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন ক্লাবের সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বরিশাল ক্লাবের ৪৬২ নম্বর সদস্য এবং নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা আমতলা এলাকার মৃত মনু চৌধুরীর ছেলে। বিচারক মো. হাসিবুল হাসান মামলা আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান।

সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, বরিশাল ক্লাবের গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ৩২ এর ক-ঘ ধারা অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা হবে।

সভায় ক্লাবের স্থায়ী ও আজীবন সদস্যদের ভোটে সভাপতি/চেয়ারম্যান ও ১০ জন পরিচালক নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত পর্ষদের প্রথম সভায় সভাপতি ক্লাবের সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিচালকদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন করবেন।

ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে সদস্য পদের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে। বর্তমান সভাপতি সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট সদস্য হয়েছেন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১৯ আগস্ট তিনি সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। কিন্তু সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গঠনতন্ত্রের ৩২ (খ) লঙ্ঘন করে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সভাপতির পদ দখল করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার থাকার জন্য ক্লাবের দুটি রুম ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়াও ক্যাফেটেরিয়ায় বিল পরিশোধ না করায় কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে মেয়রের কাছে। যার দায়ভার ক্লাবের সদস্যদের বহন করতে হচ্ছে।

বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বিবাদী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন। বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বেআইনি ও অবৈধ কাজ করা থেকে বিরত থাকার জন্য এবং পদ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল।

কিন্তু গত ৭ জুলাই পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে মামলা করা হয় বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন।

বেঞ্চ সহকারী আরও বলেন, মামলাটি বিচারক আমলে নিয়ে নম্বর দিয়েছেন। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ হয়নি। পরে মামলার শুনানি হবে।

বিএনএনিউজ/সাইয়েদ কাজল/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ