22 C
আবহাওয়া
৩:১৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১২২ (বরিশাল- ৪)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১২২ (বরিশাল- ৪)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে বরিশাল-৪ আসনের হালচাল।

বরিশাল- ৪ আসন 

বরিশাল-৪ সংসদীয় আসনটি মেহেন্দিগঞ্জ এবং হিজলা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১২২তম আসন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংসদ নির্বাচনের সময় গঠিত হয় এই আসনটি।

২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০০১ সালের আদমশুমারির প্রকাশিত জনসংখ্যার পরিবর্তন প্রতিফলিত করার জন্য নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনের সীমানা পরিবর্তন হয়েছিল।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন:  নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শত ৩৭ জন। ভোট প্রদান করেন ৭৩ হাজার ১ শত ৪ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২২ হাজার ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মাহমুদ হোসাইন আল মামুন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১৬ হাজার ৯ শত ৪৩ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ২৯ হাজার ৯ শত ৯৭ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৩ হাজার ৯ শত ৫২ জন। নির্বাচনে বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫০ হাজার ৮ শত ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহমেদ। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২২ হাজার ৫ শত ৫৬ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন বিজয়ী হন

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮ জন। ভোট প্রদান করেন ৯৭ হাজার ৩ শত ৭৯ জন। নির্বাচনে বিএনপির শাহ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৬ হাজার ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের অবসরপ্রাপ্ত মেজর মহসিন সিকদার। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২২ হাজার ৫ শত ২ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মেজবা উদ্দীন ফরহাদ বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩ শত ৫১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬ শত ৯৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির মেজবা উদ্দীন ফরহাদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৯২ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মইদুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৭ হাজার ৪ শত ৪৩ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পংকজ নাথ বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৩ শত ৯৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ২ শত ৩০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পংকজ নাথ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪ শত ১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনএফ এর আঞ্জুমান সালাহউদ্দিন। টেলিভিশন প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৫ হাজার ৬ শত ২৯ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পংকজ নাথ বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫ শত ৭৩ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬২ হাজার ৭ শত ৬৬ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের পংকজ নাথ, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির সমর্থনে নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের জে.এম. নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, প্রকাশ মাহমুদুর রহমান মান্না, টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফ এর এনামুল হক, বটগাছ প্রতীকে খেলাফত আন্দোলনের মাহাবুবুল আলম, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের সাইফুল্লাহ, দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকে খেলাফত মজলিশের রুহুল আমিন ও হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ মো. নূরুল কারীম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পংকজ নাথ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ৪১ হাজার ৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির জে.এম. নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৯ হাজার ২ শত ৮২ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদে টানা বিএনপি বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর বরিশাল-৪ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশাল-৪ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৩৯.৭৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০.২২%, বিএনপি ১৫.৮৩%, জাতীয় পার্টি ১৩.৬৭%, জামায়াতে ইসলামী ২৩.১৮% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৭.১% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭২.২৭%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪.০১%, বিএনপি ৫৪.১০%, জাতীয় পাটি ১১.০৮%, জামায়াতে ইসলামী ১০.১৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৬২% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫২.৬২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৩.১১%, ৪দলীয় জোট ৬৬.৮৪%,জাতীয় পার্টি ৪.২৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৫.৭৮% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮০.৪৩% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৪২.০৭%, ৪দলীয় জোট ৪৪.৭৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৩.১৯% ভোট পায়।

বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) : এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পংকজ নাথ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। যদিও আওয়ামী লীগ পংকজ দেব নাথকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। ফলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ।

আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে অন্তত হাফ ডজন নেতা মনোনয়ন চাইবেন। এরা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিনের কন্যা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাম্মী আহমেদ। সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাইদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন হিমু, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খান এবং হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন একাদশ জাতীয় সংসদে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটের শরিক, নাগরিক ঐক্যের জে. এম. নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর প্রকাশ, মাহমুদুর রহমান মান্না, বরিশাল জেলা (উত্তর) বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান।

জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একাদশের প্রার্থী চরমোনাই পীরের ছোট ভাই মাওলানা সৈয়দ নুরুল করীম আবারও মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বরিশাল-৪ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন পান। এরপর থেকে আভ্যন্তরীণ কোন্দল ভয়াবহ রূপ নেয়। পংকজ নাথের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খানসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা।

গত ৯ বছরে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে তিনি তার পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের সুযোগটি পুরোপুরি নিতে চায় বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১২২তম বরিশাল-৪ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগের দখল হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনএ/ শিরীন সুলতানা, এমএফ, ওয়াই এইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ