বিএনএ ডেস্ক: সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে কলকতা ডিবির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গ্রেপ্তার জিহাদ। তার দেওয়া বর্ণনার একটি ভিডিও দেখা গেছে গণমাধ্যমে।
এদিকে গ্রেপ্তার এক আসামির ফোন থেকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের একটি ছবি পাওয়া গেছে বলে ডিবি সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা গেছে, একটি চেয়ারে তার দুই হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। গামছা দিয়ে বাঁধা হয় গলা। সাদা কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় মুখ এবং কালো কাপড় দিয়ে বাঁধা হয় মাথা। তবে এটি হত্যার আগের না পরের ছবি তা জানা যায়নি।
কলকাতা ডিবি পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনায় জিহাদ জানিয়েছেন, ট্রিপ্লেক্স সেই ফ্ল্যাটের বসার ঘরে আনারকে স্বাগত জানান শিলাস্তি। পরে আসেন জিহাদ। তখন শিলাস্তিকে নিচের ফ্ল্যাটে যেতে বলা হয়। পুলিশ জিহাদকে নিয়ে ফ্ল্যাটের নিচে নামার পর জিহাদ দেখান কোথায় বালিশচাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করা হয়। কলকাতার সিআইডির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি সূত্র বলছে, আনার হত্যায় মূল পরিকল্পনাকারী শাহীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে।
তিনি কলকাতায় যাওয়ার সময় যেমন শিলাস্তি রহমান ছিলেন তেমনি অন্য মডেলরাও ছিলেন। সাথে ছিলেন একজন নায়িকাও। তাদের মধ্য থেকে তিনি নায়িকাকে কলকাতার পঞ্চলা ও গৌরবতীর ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিক মডেল ও চিত্রনায়িকাকে ডাকা হতে পারে ডিবি কার্যালয়ে। গ্রেপ্তার শিলাস্তি রহমান এবং হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েজন নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে।
সন্দেহের মূল তালিকায় আছেন ওই চিত্রনায়িকা। তিনি কলকাতায় শাহীনের কাছেই ছিলেন। শাহীন তার কাছে হত্যার তথ্য শেয়ার করেছে কি না, তা জিজ্ঞাসাবাদে জানতে চাইবে ডিবি।
সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে আরো অনেকের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে জানিয়ে হারুন বলেন, যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
গত ১২ মে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে কলকাতায় যাওয়ার পরের দিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর ২২ মে সকালের দিকে তার খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ বলছে, কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে আনারকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই দেশে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সর্বশেষ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ