লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে এবং তা দীর্ঘায়িত হয়ে কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। সহজভাবে বললে গরমের সময়ের অধিক তাপজনিত অসুস্থতার সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হলো হিট স্ট্রোক।
কারণ
গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ থাকলে আমাদের শরীর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়। ঘামের মাধ্যমে শরীর তাপমাত্রা কমাতে চেষ্টা করে।
আমরা যদি এমন পরিস্থিতিতে যথেষ্ট পরিমাণ তরল (লবণ পানি) গ্রহণ না করি, তবে শরীর তাপমাত্রা ঠিক রাখতে পারে না। এ অবস্থায় চার ধরনের তাপজনিত অসুস্থতা দেখা যায়। সব শেষ স্তরটি হলো হিট স্ট্রোক।
হঠাৎ করে হিট স্ট্রোক হয় না। বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। আগে থেকে এই লক্ষণগুলি জানা থাকলে ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো যায়।
এই লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন-
১. শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায়, তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে
২. আক্রান্ত ব্যক্তি অদ্ভুত ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তার খিঁচুনি হতে পারে
৩. খুব ঘাম হয়
৪. বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে
৫. দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস
৬. হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়
৭. মাথা ব্যথা হয়
৮. আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করে সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন
কাদের হয় হিট স্ট্রোক?
ছোট-বড় সব ধরনের মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন । যারা অনেক্ষণ ধরে রোদে কাজ করেন, বা আগে থেকে কোনও হৃদরোগজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এছাড়া যারা এই গরমে খুব পরিশ্রম করছেন, শরীরচর্চা করছেন, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এ কারণে দুপুরের দিকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে যেতে হবে। এছাড়া বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তিদের দুপুরের দিকে বাইরে বের হতে দেবেন না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তারা ঘরেই থাকুন।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের কৌশল
১. এই সময়ে হালকা-সুতি জামাকাপড় পরতে হবে।
২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৩. বাইরে বেশি সময় না কাটানোই ভালো।
৪. খুব সকালে বা রাতের দিকে বাইরের কাজ সেরে ফেলুন।
৫. ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।
৬. প্রস্রাবের রঙ হলুদ বা গাঢ় রঙের হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান।
৭. কফি,অ্যালকোহল পান ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ