বিশ্ব ডেস্ক: মিয়ানমারে পাসপোর্ট নিয়ে হাহাকার চলছে।সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরে বেশিরভাগ পাসপোর্ট অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে, বিদেশের মিশনগুলোতেও নতুন পাসপোর্ট ইস্যু বা রিনিউ কোনটাই করা হচ্ছে না। খবর মিয়ানমার নাও অনলাইনের।
ব্যাপকহারে নাগরিকদের দেশত্যাগ বিশেষ করে তরুণ যুবকদের আটকাতে এবং পাসপোর্ট ছাপার সংকটের কারণে পাসপোর্ট অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমার সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট দিয়ে থাকে। যেমন-পিজে- বিদেশে জব হোল্ডারদের জন্য, পিভি-বিদেশ ভ্রমণকারীদের জন্য এবং পিএস- সিম্যান- যারা সমুদ্রগামি জাহাজে চাকরি করেন, তাদের জন্য।
সরকার বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন, ব্যাপক ধড়পাকড় এবং দেশের খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে মিয়ানমারের তরুণ জনগোষ্ঠি দেশ ছেড়ে পালাতে উদগ্রিভ।তাই ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর হতে মিয়ানমারে পাসপোর্টের জন্য দীর্ঘলাইন দেখা যেত গত বছরও।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে নতুন করে কাউকে পাসপোর্ট দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। এর আগে পাসপোর্ট প্রদানে খুব সতর্কতা অবলম্বন করা হত। সরকার বিরোধীদের মোটেও পাসপোর্ট দেয়া হত না।
থাইল্যান্ডে ১২ থেকে ১৫লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিক বৈধ অবৈধভাবে বসবাস করছে এবং সেখানে নানা পেশায় নিযুক্ত। থাইল্যান্ডের প্রদেশগুলোর মিয়ানমারের কনস্যুালেট অফিসগুলোতে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা বন্ধ থাকায় লাখ লাখ মিয়ানমার নাগরিক বেশ বেকায়দায় পড়েছে। অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বিএনিউজ২৪,জিএন