বিএনএ, ঢাকা: ‘আমি ছাড়াও আরও ১০টি মেয়ের সঙ্গে সজিবের সম্পর্ক ছিল। আমার কলেজপড়ুয়া মেয়ের ওপরও কুদৃষ্টি দিয়েছিল। আমার কাছে টাকাপয়সা নিয়ে অন্য মেয়েদের পেছনে খরচ করত। এসবের কারণেই ওকে শেষ করে দিয়েছি।’
প্রেমিক সজিবকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মরদেহ পাঁচ টুকরো করার ঘটনায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেন শাহনাজ পারভীন। সজিবের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন শাহনাজ। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
শাহনাজ জবানবন্দিতে আরও জানান, সজিবের মরদেহ আরও কয়েক টুকরো করার পরিকল্পনা ছিল তার। স্বামীর সংসার ছেড়ে প্রেমিক সজিব হাসানের কাছে নিজেকে সমর্পণ করলেও তার বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি। তাকে অবিশ্বাসের চোখেই দেখতেন সজিব। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় শাহনাজকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হতো। এ ছাড়া তার স্বর্ণালংকার বিক্রি ও স্বামীর কাছ থেকে আনা টাকা নেওয়ার জন্য চাপ দিতেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ওয়ারীর স্বামীবাগের একটি বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে ৩৩ বছর বয়সী সজিব হাসানের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের তিন টুকরো ঘরের মেঝেতে এবং দুই টুকরো টয়লেটে ছিল। মেঝেতে মরদেহের পাশ থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ৪২ বছর বয়সী শাহনাজ পারভীনকে। অবশ্য স্বামীর করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে শাহনাজকে ওই বাসায় খুঁজতে গিয়েছিল পুলিশ। এ ছাড়া শাহনাজের স্বামীও পুলিশকে ফোন করে তার স্ত্রীর অবস্থান জানান। স্বামীর কাছে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানান শাহনাজ। এও বলেন, ‘তোমার পরিবারকে বাঁচিয়ে গেলাম। এবার আমাকে বাঁচাও। এর পরই শাহনাজের স্বামী বিষয়টি পুলিশকে জানান।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ওয়ারীর কে এম দাস রোডের একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সজীব হাসান নামে ওই যুবকের মরদেহের পাঁচ টুকরা উদ্ধার করে পুলিশ।সে সময় মরদেহের টুকরার পাশে বসা থাকা শাহনাজ পারভীন (৫০) নামে নারীকে আটক করা হয়।
বিএনএ/ এমএইচ