টুঙ্গিপাড়া(গোপালগঞ্জ): পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও যথাযথ মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শনিবার(১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি.) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে নবনিযুক্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাবু কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বিগত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পার্বত্যবাসীর ভোটের ম্যান্ডেট নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১১ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভ করেন।
গণমাধ্যমের নিকট এক প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনে সকলের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন নবনিযুক্ত পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বাবু কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৃাতৃস্নেহে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে ভালোবাসেন এবং পার্বত্যবাসীর ভাগ্যোন্নয়নের জন্য তিনি খুবই আন্তরিক। যে কারণে বারবার পার্বত্যবাসীর দুর্যোগ, বিপর্যয়ে বা এলাকাবাসীর মধ্যে যদি কোনো ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন ও আমাদের তাৎক্ষণিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। একইসাথে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আন্তরিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাঁর নিরন্তর পরিশ্রমের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
খাগড়াছড়ি পার্বত্যবাসীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, পার্বত্যবাসীর শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল বলেন, একটা বড় পরিসরে প্রধানমন্ত্রী আমাকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। পৃথিবীর সব জায়গাতেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তারপরও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় যে সংঘাত ছিল, ভ্রাতৃঘাতী ছিল, ভুল বুঝাবুঝি ছিল, পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে একটা বড় ধরনের প্রাচীর তৈরি করে রাখা হয়েছিল তা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চুক্তির মধ্য দিয়েই নিরসন করেন।
বিএনএ,এসজিএন
