বিএনএ: বিপিএল-এর দশম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। খুলনার দেয়া ১৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।
টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সোহানের দল। দলীয় ১ রানের মাথায় ১ রানে সাইফুদ্দিনের শিকারে পরিণত হন রনি তালুকদার। এরপর মেহেদী হাসানকে নিয়ে ১৯ বলে ২১ রানের জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব। দলীয় ২২ রানের মাথায় ১২ বলে ১৪ রান করা মেহেদী হাসানকে ফেরত পাঠান ওহাব রিয়াজ। ৩১ রানের মাথায় আবারও আঘাত করেন ওহাব রিয়াজ। ৯ বলে ১০ রান করা সাইম আইয়ুবকেও ফেরত পাঠান তিনি।
ধুকতে থাকা রংপুরে হাল ধরেন তখন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। মোহাম্মদ নাইমকে সাথে নিয়ে ৩০ বলে ২৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় নাসুম আহমেদের বলে ২২ বলে ২১ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ নাইম।
অধিনায়ক সোহান এসেও সঙ্গ দেন শোয়েব মালিককে। ৩৬ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন দুজনে। ৯০ রানের মাথায় ১৮ বলে ১০ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক সোহান। তখনও একপ্রান্ত আগলে রাখেন শোয়েব মালিক। শামীম হোসেনের সাথে ১৮ বলে গড়ে তোলেন ৩৩ রানের জুটি।
তবে ১২৩ রানের মাথায় শোয়েব মালিক আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে রংপুর। শামিম হোসেনের ১০ বলে ১৬ রান ও শেষ ওভারে বাউন্ডারি মেরে চাপ থেকে দলকে বের করে আনেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান শামীম ও আজমতুল্লাহ।
খুলনার পক্ষে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ওহাব রিয়াজ ও নাসুম আহমেদ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৭টায় চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে খুলনা টাইগার্স। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। এরপর অধিনায়ক ইয়াসির আলী ও আজম খানের জুটিতে রানের চাকা সচল হয় দলটির। ৪২ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নাহিদুল ইসলামের ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি ছাড়া আর কোন জুটিই তেমন সুবিধা করতে পারেন নি।
রংপুরের পক্ষে রবিউল হক ৪টি ও ২টি করে উইকেট শিকার করেন রাকিবুল হাসান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ।
৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন রংপুর রাইডার্সের রবিউল হক।
তিন ম্যাচের দুই জয়ে পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে রংপুর রাইডার্স। আর ৩ ম্যাচে কোন জয় না পেয়ে টেবিলের ষষ্ঠ অবস্থানে খুলনা টাইগার্স।
বিএনএনিউজ /এ আর