বিএনএ: ঢাকা শহরে মালিকানা ছাড়া কোনো জায়গা নেই। প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে। এজন্য সাত দিন সময় বেধে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) নগর ভবন অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি। বলেন, রাজধানীতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কোনো স্থানে মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সবাইকে সাত দিনের সময় দিচ্ছি উল্লেখ করে মেয়র আতিক বলেন, সাত দিন পর তিনি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবে। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
মেয়র আতিক বলেন, এয়ারপোর্টের পাশের খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে সিটি করপোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেয়া হোক না কেন, মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
মেয়র বলেন, প্রতিটি ভবনে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বারিধারা এলাকায় সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবিভাগ এরইমধ্যে সমীক্ষা শেষ করেছে। ৪ জানুয়ারি এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ/এ আর
