22 C
আবহাওয়া
৪:০৫ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ

ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ

ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ

বিএনএ ঢাকা: পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নিউ ইরা উইথ ৫ জি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চালু করা হয়েছে।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই ঐতিহাসিক যাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ্ এমপি।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে দেশে ফাইভ-জি সেবা চালু করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ফাইভ-জি মিস করলে ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হবে। সরকারের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ফাইভ-জি কেবল উন্নত দেশগুলো চালু করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে চায় না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তি গ্রহণে আর কখনও পিছিয়ে থাকবে না। যখন যে প্রযুক্তি আসবে, সবার আগে বাংলাদেশ সেই প্রযুক্তি গ্রহণ করবে। ফাইভ-জিতে বাংলাদেশ খুব বেশি দেরি করেনি। ২০১৮ সালে দেশে ফাইভ-জির টেস্ট অপারেশন চালানো হয়। সেই সফল পরীক্ষার ফলই আজকের দিনটি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রধান সিমন লিন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন ।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এলাকা, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে। এরপর রাজধানীর ২শ স্থানকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনবে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক। পরে জেলা পর্যায়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা ফাইভ-জি সাপোর্টেড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাইভজি সেবা ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সিম পরিবর্তন করতে হবে না।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা থ্রি-জি চালু হয়। এরপর ২০১৮ সালে চালু করা হয় ফোর-জি। যদিও এখনও টু-জি প্রযুক্তির সেবা গ্রহণ করেন দেশের বেশির ভাগ মুঠোফোন গ্রাহক। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির ১৩তম সভার কার্যপত্র অনুযায়ী, দেশে মোট গ্রাহকের ৩৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এই হার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ