বিএনএ কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) এ দিন ধার্য করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
পঞ্চম দফার মঙ্গলবার সেনা কর্মকর্তাসহ আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। যাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় তারা হলেন, সেনা কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট কর্নেল ইমরান, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল সিকদার, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ও কনস্টেবল শুভ পাল।
৩২তম সাক্ষী সেনা কর্মকর্তা ইমরানের সাক্ষ্যগ্রহণ মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে আরও তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে মোট ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে হাজির করানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য উপস্থিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অনীহার কারণে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, মামলার দুই নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে রিকল করার আবেদন করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয় র্যা বকে।
ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর র্যা ব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে। এরপর গত ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।
বিএনএনিউজ/আরকেসি