বিএনএ ডেস্ক: বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই সরকার কাজ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৪৬তম ইন্দো প্যাসিফিক আর্মি ম্যানেজমেন্ট সেমিনারের উদ্বোধনের সময় এই মন্তব্য করেন তিনি।
সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়ন বিস্ময় এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে।
অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কারণে আর্থিক ও নিরাপত্তাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তি ও জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। রোহিঙ্গারা অর্থনৈতিক, সামাজিক, নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত না পাঠাতে পারলে বাংলাদেশ অনিরাপদ হয়ে ওঠবে।
তিনি আরও বলেন, শান্তিরক্ষা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিয়ানমারকে অনুরোধ করছি তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে।
সিনিয়র সামরিক নেতাদের নেতৃত্বে ২৬টি দেশের প্রতিনিধিরা সেমিনারে অংশ নেয়। ৪৬তম আইপিএএমএসের তিনটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতায় ভূমি শক্তি।
আইপিএএমএস হলো অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ