25 C
আবহাওয়া
৫:৪১ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জুমাবারে ৬ সুরা পাঠের বিশেষ ফজিলত

জুমাবারে ৬ সুরা পাঠের বিশেষ ফজিলত

কোরআন

ধর্ম ডেস্ক: জুমাবার মুমিনের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সপ্তাহের বাকি ছয় দিনের তুলনায় জুমাবার অধিক মর্যাদাসম্পন্ন হওয়ায় দিনটির আমলগুলোও অনেক ফজিলতপূর্ণ। নবীজির (স.)-এর কাছে জুমার দিনের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। তিনি প্রিয় উম্মতকে এ দিনের অনেক আমল শিক্ষা দিয়েছেন। এসব আমলের মধ্যে কিছু সুরা পাঠের কথাও হাদিসে এসেছে। নিচে সেই সুরাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো—

সুরা কাহাফ পাঠ

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠ করবে, তার ঈমানের নূর এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হতে থাকবে।’ (বায়হাকি, সুনানে সুগরা: ৬৩৫; বায়হাকি, সুনানে কুবরা: ৫৭৯২)

বারাআ (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করছিলেন। তার ঘোড়াটি দুটি তার পাশে বাঁধা ছিল। তখন এক টুকরা মেঘ এসে তার ওপর ছায়া দান করল। মেঘখণ্ড ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসতে লাগল। আর তার ঘোড়াটি ভয়ে লাফালাফি শুরু করে দিল। সকাল বেলা যখন লোকটি নবী (স.)-এর কাছে উক্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন, তখন তিনি বলেন, এটি ছিল সাকিনা (প্রশান্তি), যা কোরআন তিলাওয়াতের কারণে নাজিল হয়েছিল।’ (বুখারি: ৫০১১)

ফজর নামাজে সুরা সাজদাহ ও দাহর, জুমার নামাজে সুরা জুমা ও মুনাফিকুন পাঠ

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘নবী (স.) জুমার দিন ফজরের নামাজে ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুস সাজদাহ’ (সুরা আস সাজদাহ) ও ‘হাল আতা আলাল ইনসা-নি হিনুম মিনাদ দাহর’ (সুরা আদ দাহর) এবং জুমার নামাজে সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পাঠ করতেন।’ (মুসলিম: ১৯১৬)

সুরা দুখান পাঠ
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) সুরা হা-মীম আদ-দুখান পাঠ করবে, তাকে ক্ষমা করা হবে’ (তিরমিজি: ২৮৮৯)। অন্য বর্ণনায় সুরা ইয়াসিনের কথাও উল্লেখ রয়েছে।

উল্লেখ্য: পবিত্র কোরআনের সব সুরাই বরকতময় ও পুণ্যবহ। তাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়— জুমার দিন আমরা যেকোনো সুরাই তেলাওয়াত করতে পারি। এতে কোনো গুনাহ বা মাকরুহ কিছুই হবে না। তবে, যারা সুন্নতের পাবন্দি ও সব বিষয়ে সুন্নত অনুসরণ করতে চান তাদের জন্য জুমার দিনে উপরোক্ত সুরাগুলো পাঠ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এতে অনেক সওয়াব অর্জন হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক কাজে সুন্নত অনুসরণ করার এবং সওয়াবের কাজে প্রতিযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ