31 C
আবহাওয়া
২:২০ অপরাহ্ণ - সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ছোট্ট একটা ভালোবাসার নাম “মা”

ছোট্ট একটা ভালোবাসার নাম “মা”

ছোট্ট একটা ভালোবাসার নাম “মা”

বিএনএ, ডেস্ক: পৃথিবীর মধুরতম ডাক মা। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই এই দিনটি পালন করা হয়।

মা দিবস বা মাতৃ দিবস হল একটি সম্মান প্রদর্শনজনক অনুষ্ঠান যা মায়ের সন্মানে এবং মাতৃত্ব, মাতৃক ঋণপত্র, এবং সমাজে মায়েদের প্রভাবের জন্য উদযাপন করা হয়। ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেয়ে স্কুলশিক্ষিকা আনা মারিয়া জার্ভিস তার প্রয়াত মা, অ্যান রিভস জার্ভিসকে স্মরণ করে এক রোববার তার স্কুলে মা দিবস পালন করেন।

বিশ্বের সর্বত্র মায়ের এবং মাতৃত্বের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে দেখা যায়। এগুলোর অনেকই প্রাচীন উৎসবের সামান্য প্রামাণিক সাক্ষ্য, যেমন, সিবেল গ্রিক ধর্মানুষ্ঠান, হিলারিয়ার রোমান উৎসব যা গ্রিকের সিবেল থেকে আসে, অথবা সিবেল এবং হিলারিয়া থেকে আসা খ্রিস্টান মাদারিং সানডে অনুষ্ঠান উদযাপন।

দিনটির সূত্রপাত প্রাচীন গ্রীসের মাতৃ আরাধনার প্রথা থেকে যেখানে গ্রিক দেবতাদের মধ্যে এক বিশিষ্ট দেবী সিবেল-এর উদ্দেশ্যে পালন করা হত একটি উৎসব। এশিয়া মাইনরে মহাবিষুব- এর সময়ে এবং তারপর রোমে আইডিস অফ মার্চ (১৫ই মার্চ) থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে এই উৎসবটি পালিত হত। প্রাচীন রোমানদের ম্যাত্রোনালিয়া নামে দেবী জুনোর প্রতি উৎসর্গিত আরো একটি দিন ছিল, যদিও সেদিন মায়েদের উপহার দেওয়া হত।

মাদারিং সানডের মতো ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে বহু আচারানুষ্ঠান ছিল যেখানে মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রোববারকে আলাদা করে রাখা হত। মাদারিং সানডের অনুষ্ঠান খ্রিস্টানদের অ্যাংগ্লিকানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পঞ্জিকার অঙ্গ। প্রথানুযায়ী দিনটিকে সূচিত করা হত প্রতিকী উপহার দেওয়া এবং কৃতজ্ঞতাস্বরূপ রান্না আর ধোয়া-মোছার মত মেয়েদের কাজগুলো বাড়ির অন্য কেউ করার মাধ্যমে।

আমেরিকান গৃহযুদ্ধ ও ফ্রাঙ্কো-প্রুশীয় যুদ্ধের নৃশংসতার বিরুদ্ধে ১৮৭০ সালে রচিত হোই-এর মা দিবসের ঘোষণাপত্রটি ছিল একটি শান্তিকামী প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক স্তরে সমাজকে গঠন করার ক্ষেত্রে নারীর একটি দায়িত্ব আছে, হোই-এর এই নারীবাদী বিশ্বাস ঘোষণাপত্রটির মধ্যে নিহিত ছিল।

মানুষের ভেতরে যেমন মা এর জন্য ভালবাসা আছে, তেমনি আছে প্রকৃতির ভেতরেও, ভালবাসা আছে অন্যান্য প্রাণীদের ভেতরেও। শুধু মানব জাতিই নয়, ধরিত্রীতে বিরাজমান প্রায় সকল প্রাণীদের মাঝেই দেখা যায় মাতৃত্বের অনন্য নিদর্শন। যা সভ্যতার মানদণ্ডের উর্ধ্বে উঠে ঘোষণা করে মাতৃত্বের বিশালতা। প্রকৃতিতে ভালোবাসার স্নিগ্ধ স্রোতধারার নাম মাতৃত্ব।

একটি শিশু জন্মের আগে থেকেই মায়ের সান্নিধ্যে অভ্যস্ত হতে থাকে একটু একটু করে। মায়ের ভেতর বেড়ে ওঠার সময়টা থেকেই সন্তানের যে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় মায়ের সঙ্গে, জন্মের পর সেটা ধীরে ধীরে কেবল বাড়তেই থাকে। মা আমাদের অস্তিত্বের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হন।

আজ সকল মায়েদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। যিনি কোন র্স্বাথ ছাড়াই, উদ্দেশ্য ছাড়াই নয় মাস গর্ভে ধারণ করে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন। লালন পালন করেছেন, প্রতি মুহূর্তে দোয়ায় রেখেছেন।

বিএনএনিউজ/ রেহানা/ বিএম/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ