বিএনএ ঢাকা: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দু’দিন পরেই শুরু হবে সর্বাত্মক লকডাউন।বিধিনিষেধ ও লকডাউনের মাঝের দুই দিনকে সামনে রেখে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। সড়কে বাস না চলায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক,তিন চাকার যান এবং মোটরসাইকেলে করে ঘরমুখী হচ্ছে তারা।
সোমবার(১২ এপ্রিল) সকাল থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ফেরি, ট্রলার ও স্পিডবোটে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। এদের বেশিরভাগই ঢাকা ও আশপাশের জেলার খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করায় চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কয়েকগুণ বেশি অর্থ খরচ করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা এবং বাংলাবাজার ঘাট থেকে বরিশাল, খুলনা, ভোলা, গোপালগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে তারা। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগেও খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।
খেটে খাওয়া এসব মানুষ জানিয়েছেন, লকডাউন কতদিন চলে, তা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ঢাকায় থেকে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে বাড়িতে গিয়ে থাকাই ভালো। সেজন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।
ঘাটের লোকজন জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাওয়ার জন্য শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দোলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ব্যবহৃত হয়। গত দুই দিন ধরে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ও শিমুলীয় অফিসের কর্মকর্তারা বলেন, সরকারি বিধিনিষেধে যানবাহন পারাপার বন্ধ রয়েছে।তবে, ফেরিগুলো পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে পার করছে বলে জানান তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি