31 C
আবহাওয়া
২:১৬ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ১১ দিন পর নাজমুলের মরদেহ পেল পরিবার

১১ দিন পর নাজমুলের মরদেহ পেল পরিবার


বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অবশেষে ১২ দিন পর হাসপাতালের মর্গ থেকে নাজমুল ইসলামের (২৫) মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ–সিআইডি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলামের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করেছেন ।

নাজমুল মুন্সিগঞ্জ সদরের নলবুনিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি রামপুরার বনশ্রীতে থাকতেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাজমুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ।

তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে গতকাল আমরা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। মঙ্গলবার নাজমুল ইসলামের মরদেহ আমরা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তিনি ছিলেন ৪৬ জন মরদেহের মধ্যে সর্বশেষ।

মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, এর আগে গত ১ মার্চ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তার বাবা নজরুল ইসলাম ও মাতা হাসিনা বেগমের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে নাজমুলের ডিএনএ নমুনা মিলে যায়।  নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলামের কাছে মরদেহ  হস্তান্তর করি। ধর্মীয় রীতি মেনে দাফন করার জন্য তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

নিহত নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নাজমুলের মরদহ প্রথম জানাজার জন্য যাত্রাবাড়ীর কাজলাই নিয়ে যাচ্ছি। পরে সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’

নজরুল ইসলাম বলেন আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও হোটেল মালিক ব্যবসায়ীদের কাছে আমার একটাই দাবি ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। ঢাকা সিটি করপোরেশন ও অন্য সংস্থার যারা এ কাজটি তদারকি করেন তারা যেন ভবিষ্যতে এ বিষয়টির দিকে আরও ভালোভাবে নজর রাখেন। যাতে এ ধরনের ঘটনায় আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে।’

বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয় । জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে।

বিএনএনিউজ/ আজিজুল/ এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ