বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ দফা দাবি নিয়ে চারুকলার সামনে রেললাইনে আগুন ধরিয়ে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
রোববার (১২ মার্চ) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার। এর আগে সাত দফা দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-১. অনতিবিলম্বে প্রক্টর অপসারণ; ২. সকল সাধারণ শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইডি কার্ড ব্যাতীত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা; ৩. হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করা; ৪. দ্রুত শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিতকরণ; ৫. আহতদের সকল চিকিৎসার ব্যায়ভার গ্রহণ; ৬. সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপকারীদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার; ৭. বিনোদপুর এলাকায় শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণ।
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে একটি বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে সুপারভাইজার ও হেলপারের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ব্যবসায়ীদের ইট-পাটকেলে অন্তত ২৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। রবিবার দিনভর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। অবরুদ্ধ ছিলেন রাবি উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদস্যরা।
বিএনএ/সাকিব, এমএফ