21 C
আবহাওয়া
৮:২৩ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ব্রয়লার মুরগি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী

ব্রয়লার মুরগি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী

ব্রয়লার মুরগি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়

বিএনএ: ব্রয়লার মুরগি জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এমন কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বলেন, এ মাংসে সর্বোচ্চ সহনশীল মাত্রার অনেক কম পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক ও ভারী ধাতুর অবশিষ্টাংশ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পিআইডির কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের গবেষণা ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। ব্রয়লার মুরগির মাংসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল ও অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে কি না-এ বিষয়ে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংসে, হাড়ে এবং কম্পোজিটে মূলত দুটি অ্যান্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও ডক্সিসাইক্লিন) এবং ৩টি হেভি মেটালের (আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম ও লেড) সামান্য উপস্থিতি রয়েছে; যা অস্বাভাবিক নয়, তা সর্বোচ্চ সহনশীল সীমার অনেক নিচে। খামার এবং বাজারের ব্রয়লার মাংসের চেয়ে সুপারশপের ব্রয়লার মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হেভি মেটালের পরিমাণ কম।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস খাওয়া নিরাপদ কি না, এ নিয়ে আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্রান্ত ধারণা বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক প্রচারণায় দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির মাংসে অ্যান্টিবায়োটিক, হেভি মেটাল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি রয়েছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেক সময় ব্রয়লার মাংস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তারা ব্রয়লার মাংস খাওয়া কমিয়ে দেয়।’

আবদুর রাজ্জাক বলেন, নানা কারণে ব্রয়লার শিল্পের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ২০২০ সালে শুরু হওয়া কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের সময় আমরা লক্ষ করেছি যে রোগটির প্রকোপের প্রথম দিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ব্রয়লার মাংস খাওয়া অনেক কমে যায়।

দেশে ব্রয়লার খাতকে খুবই সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদা বাড়াতে পারলে দেশে যে পরিমাণ খামার ও অবকাঠামো আছে, তার পুরোপুরি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন আরও বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। সে জন্য মানুষের কাছে মুগরির মাংস জনপ্রিয় করতে হবে।

গবেষণার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘পোলট্রি খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। একসময় গ্রামে নিজস্ব আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন করা হতো। এখন এটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এ খাত দেশের মানুষের আমিষের একটি বড় চাহিদা মেটায়। ফলে নিজ উদ্যোগে অনেকেই এ খাতে এসেছেন আর গ্রামীণ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ