বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে সামাজিক অনুষ্ঠানের অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির দাম। আমদানী বাড়ায় কমেছে সব প্রকার মাছের দাম। এদিকে হঠাৎ পাম তেলের দাম কমায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর প্রধান কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
ওই বাজারের মোহাম্মদ আলী বলেন, সম্প্রতি সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, পুজার কারণে সব প্রকার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
তিনি বলেন, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৭০ টাকা, সাদা কক ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০ টাকা ৩৯০ টাকা। এদিকে, খাসির মাংস ৮৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মহালের মাছ বিক্রেতা শামিম আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহের চাইতে বাজারে মাছের আমদানী বাড়লেও চাহিদা কম। তাই মাছের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে।
তিনি বলেন, শিং মাছ ৩০০ টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৬০ টাকা, ফলি মাছ ৩৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৭০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, শোল মাছ ৫০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬৫০ টাকা, বড় পাঙ্গাস ২০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, গ্লাস কার্প ২৫০ টাকা, ছোট কারপিও ২৩০ টাকা, বাউশ মাছ ২৬০ টাকা, ছোট তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, গুলশা মাছ ৫০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এএইচ ট্রেডাসের বিক্রেতা মোস্তাক বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের ডিম ও হাসের ডিমের দাম ডজনে কিছুটা কমেছে।
তিনি বলেন, ফার্মের মুরগির ডিম ৩ টাকা কমে ১৩৫, হাসের ডিম ১৫ টাকা কমে ১৯৫, দেশি মুরগির ডিম ২১০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা ন্যায্য মুল্য না পাওয়া সবজি চাষ কম করছেন। যে কারণে বাজারে সবজির আমদানী কমে গেছে। তাই, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
তিনি বলেন, সিম ১৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, টমেটো ১৩০, গাজর ১২০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ টাকা পিস, মুখি কচু ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, ছোট লাউ ৪০ টাকা, লতা ৮০ টাকা,ধুন্ধল ৬০ টাকা, বাধা কপি ৬০ টাকা, কাকরুল ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মিলন বালা স্টোরের বিক্রেতা কাঞ্চন পাল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মুল্য কমায় দেশেও কমেছে। তাছাড়া, হঠাৎ করে পাম তেলের দাম কমে যাওয়ায় আমাদের কাছে মজুদ থাকা তেল কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কারণে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা, পাম তেল ১২৮ টাকা, কোয়ালিটি ১৪৫ টাকা, সরিষার তেল ২৬০ টাকা, নারিকের তেল ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মো. আব্দুস সালাম বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৩৪ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১১০ টাকা, হল্যান্ড আলু ২৫ টাকা, দেশি আলু ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান,ওজি