33 C
আবহাওয়া
১০:৪৮ অপরাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাবিতে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন

রাবিতে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন

রাবিতে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন

বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের প্ল্যান্ট মলিকুলার বায়োটেকনোলজি ল্যাবে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে নতুন এই জাতটির উদ্ভাবন করেন— অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) নতুন এই জাতটির উদ্ভাবন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাবির প্রাণরসায়ন বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ভাবিত কলা চাষ সম্প্রসারণের জন্য আমন্ত্রিত চাষীদের মধ্যে চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. শাহেদ জামান। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

উপাচার্য তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমুল উদ্ভাবন একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে দেশের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একদল উদ্ভাবনী গবেষক ও প্রয়োজনীয় গবেষণাগার। কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন। আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছে তা অন্যদেরও উদ্ভাবনী গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে। আগামীতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা গবেষণায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তাঁদের গবেষণায় সাফল্যের সর্বশেষ স্বাক্ষর এই উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন। এই কলা উচ্চফলনশীল হওয়ায় তা মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগটির গবেষণাগারগুলোতে চলছে আরও কিছু গবেষণা; যেখান থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

বিএনএ/সাকিব, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ