বিএনএ, ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিত্যপণ্যের ‘সেনাবাহিনীর নির্ধারিত দর’ বলে ১০টি পণ্যের একটি বাজার দর ছড়িয়ে পড়েছে। সেই তালিকা সত্যি ভেবে বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সরেজমিন ঘুরে ভাইরাল হওয়া বাজারের মূল্যতালিকার সঙ্গে বাজারদরের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, ফেসবুকে যে মূল্যতালিকা ভাইরাল হয়েছে, সেই দরে তাঁরাই পাইকারিতে কিনতে পারছেন না।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রচার হওয়া বাজারের মূল্যতালিকাটি সম্পূর্ণ ভুয়া। এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাজারদর নির্ধারণের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে অবশ্যই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এক বার্তায় জানিয়েছেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণসংক্রান্ত একটি তালিকা প্রচার করা হচ্ছে, যা অধিদপ্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পণ্যসমূহের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ভোক্তা সাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হলো।
ভাইরাল হওয়া বাজারের মূল্যতালিকায় প্রতিকেজি আলুর দর ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, প্যাকেটজাত লবণ ৩০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, তরল দুধ শহরের জন্য ৬০ টাকা ও গ্রামের জন্য ৫০ টাকা লিটার ঠিক করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, পেঁয়াজ মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায়, গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা