বিএনএ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন ১৩ জন করোনাক্রান্ত ও ৪ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। একই সময়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৫ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ।
এছাড়া একই সময়ে উপসর্গ নিয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল সূত্র। হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, আমাদের শয্যা সক্ষমতা ২৫০ বেডের হলেও এ মুহূর্তে ২৯২ করোনা রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ৪০ শতাংশ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে এ সময়ে গ্রামাঞ্চলে সংক্রমিত রোগীদের অসচেতনতাকে অধিক মৃত্যুহারের জন্য দায়ী করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা আক্রান্ত হয়েও সময়মতো নমুনা পরীক্ষা না করা এবং অক্সিজেন লেভেল একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকে যাচ্ছে তখনই আসছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে আসার পর এসব রোগীদের সব রকম চিকিৎসা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের এবং উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। এর মধ্যদিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪১ জনের।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ