বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারে নারী ও শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক । কীভাবে ওই বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের নিচতলার রান্নাঘরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন–রকসি আক্তার (২৩), তার বোন ফুতু আক্তার (১৮), রকসির ছেলে আয়ান (৩) ও রকসির বাবা আব্দুল মান্নান (৬০)। সবাই কক্সবাজারের মহেশখালী থানার মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রকসির চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসে তারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা . তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার দিবাগত রাতে বসুন্ধরা থেকে দগ্ধদের হাসপাতালে আনা হয়। রকসি আক্তার ৫৫ শতাংশ, ফুতু আক্তার ৫৫ শতাংশ, শিশু আয়ান ৭০ শতাংশ ও আব্দুল মান্নান ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রকসির দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, ‘আমার ভাবি রকসির ব্রেইন টিউমার। এ জন্য চলতি মাসের ১ তারিখে তারা গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে। এভারকেয়ার হাসপাতালের পাশের ওই ভবনের নিচতলায় ভাড়া থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেন রকসি। সম্প্রতি রকসির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।’
মোস্তফা আরও বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় বাসার রান্নাঘর থেকে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসায় থাকা শিশুসহ চারজনই দগ্ধ হন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা বলতে পারেননি মোস্তফা।
আমরা ধারণা করছি, রান্নাঘরের গ্যাস লিকেজ থেকে এই ঘটনা ঘটে পারে। দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমরাও তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারিনি।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি/ হাসনা