বিএনএ, সাভার: ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়ূব আলী এছাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ইউপির সকল সদস্যরা। একইসঙ্গে তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, ইউএনও বরাবর ও জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে ডিসি কার্যালয়ে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। এর আগে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সভা করে চেয়ারম্যান আয়ূব আলী এছাকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিলের সিদ্ধান্ত নেন।অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে মোঃ ফরহাদ হোসেন।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাদবপুর ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।করোনা মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৫০০ জনকে ৫০০ টাকা করে উপকার ভোগীদের না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছন। এমনকি অতি দ্ররিদ্রের কর্মসংস্থান কাবিখা এর কাজ লেবার দিয়ে কাজ না করিয়ে ভেকু দিয়ে কাজ করিয়েছেন। এলজিএসপি, টিআর, (১%) টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন তারা।
এক বছর সময়ের মধ্যে চেয়ারম্যান এছাক আলী নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। একাধিকবার সতর্ক করার পরও তিনি অনিয়ম করে যাচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি হয়ে কাজ সম্পন্ন না করেই চেয়ারম্যান নিজে ওইসব প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
ইউপি সদস্য মোঃ ফরহাদ হোসেন হোসেন বলেন, পরিষদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সদস্যদের সমন্বয় না করে চেয়ারম্যান একক সিদ্ধান্তেই সব কার্যক্রম চালান। এক নাম একাধিকবার এন্ট্রি করে টাকা প্রদান দেখিয়েছেন। মাস্টার রোলে নিজে টিপসই দিয়েছেন এবং উপকার ভোগীদের মাস্টার রোলে নাম থাকা সত্ত্বেও তাদের টাকা দেন নাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান এছাক আলীর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগ করে দিতে রাজি না হওয়ায় সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। ’ইউপি সদস্যদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা অনাস্থা দিয়েছে। আমি কোনও অনৈতিক কাজ করি না।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক বলেন, যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আয়ূব আলী এছাকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজের অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের সকল সদস্যরা। আমি সেটা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি