বিএনএ,বিশ্বডেস্ক: গাজায় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। কিন্তু সেখানে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গাজার বিভিন্ন স্থানে মানবিক সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। গাজাবাসী যে পরিমাণ সহায়তা পাচ্ছে তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।খাবারের জন্য সেখানকার লোকজন মরিয়া হয়ে উঠেছে। গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশেরও অনুমতি দিচ্ছে না।
রোববার (১০মার্চ) চাঁদ দেখা যাওয়ায় সোমবার (১১ মার্চ) থেকে ফিলিস্তিনিরা রোজা পালন করছেন। কিন্তু রোববার সন্ধ্যায় তারাবি নামাজের জন্য হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আল-আকসায় রমজানেও আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি পুরুষ এবং ফিলিস্তিনি তরুণীদের আল-আকসায় প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। কিন্তু ৪০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকেই শুধু নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রমজান মাসকে সামনে রেখে এক বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজার ওপর এই জঘন্য যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল ও এর মিত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পবিত্র রমজানেও হামলা বন্ধের ব্যাপারে ইসরায়েলি বাহিনীর কাছ থেকে তেমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।আলোর মুখ দেখেনি যুদ্ধবিরতি চুক্তিও।গাজাজুড়ে এখনও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
ইসরায়েলি হামলার পরের পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তার ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। পবিত্র এই রমজানের শুরুতেও ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা।
সারাবিশ্বেই মুসল্লিদের কাছে রমজান মাস অত্যন্ত পবিত্র মাস। আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এই মাসে মুসলিমরা সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত না খেয়ে সিয়াম সাধনা করেন। কিন্তু এমন একটি পবিত্র মাসেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী
বিএনএনিউজ/ রেহানা/এইচমুন্নী
