17 C
আবহাওয়া
১০:০২ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » তওবা করার দোয়া বাংলায়

তওবা করার দোয়া বাংলায়

তওবা করার দোয়া বাংলায়

ছোট বেলা থেকে মানুষ কতইনা গুনাহ করে থাকে। মানুষের জানা গুনাহ, অজানা গুনাহ, ছোট গুনাহ, বড় গুনাহ। শিরক। দৈনন্দিন কাজে মানুষের অনেক ভুল ত্রুটি ও গুনাহ হয় এজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তওবা করতে হবে। আল্লাহ তওবাকারীকে পছন্দ করেন এবং তার গুনাহ ক্ষমা করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্‌র শপথ, নিশ্চয় আমি দৈনিক সত্তর-র অধিকবার আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা চাই এবং তওবা করি।” অতএব তওবার গুরুত্ব অপরিসীম। তওবা করার দোয়া বাংলা।

তওবা করার দোয়া বাংলায়(touba korar dua bangla)

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পড়বে-

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

উচ্চারণ- আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু, ওয়া আতুবু ইলাইহি।

বাংলা অর্থ- আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি।

মহান আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। সুবাহানাল্লাহ

touba korar dua bangla

আস্তাগ ফিরুল্লাহা রাব্বি মিন কুল্লি জাম্বেও ওয়া আতুবু ইলাহি লা-হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলীইল আজীম।

তওবা কবুল হবার আমল

সুবহানাকা আল্লাহুমা ওয়া বিহামদিকা আল্লাহুম মাগফিরলি ইন্নাকা আনতাত তাওয়্যাবুর রাহিম।

রাব্বিগ ফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুল গাফুরু

বাংলা অর্থ- হে আল্লাহ আমাকে মাফ করো, আমার তওবা কবুল করো, নিশ্চয়ই তুমি তওবা কবুলকারী

রিন (ঋণ) মুক্তির দোয়া

রিন (ঋণ) মুক্তির জন্য নিচের দোয়াগুলো পড়ার জন্য বেশি বলা হয়ে থাকে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আল্লা-হুম্মাকফিনী বেহালা-লেকা আন হারা-মেকা ওয়া আগ্ নিনী বেফাযলেকা আম্মান সেওয়া-কা। 

বাংলা অর্থ- হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে হারাম ব্যতীত হালাল দ্বারা যথেষ্ট কর এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন কর’।

হে আল্লাহ! তুমিই প্রথম, তোমার পূর্বে কিছু নেই। তুমিই সর্বশেষ, তোমার পরে কিছু নেই। তুমি সবার ওপর, তোমার ওপরে কিছুই নেই। তুমি সবচে’ কাছের, তোমার চেয়ে নিকটবর্তী কিছুই নেই; তুমি আমার ঋণ পরিশোধ করে দাও আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করে অমুখাপেক্ষী কর।

কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।

তূলিজুল লাল্লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়াতূলিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি ওয়াতুখরিজুল হাইইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়াতুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়াতারঝুকুমান তাশাউ বিগাইরি হিছা-ব।

তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসাব রিযিক দান কর।

সূত্র: সূরা আল-ইমরান আয়াত ২৬ ও ২৭

রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতার হামনা লা কুনান্না মিনাল খাসিরীন)।

হে আমাদের রব! আমরা আমাদের প্রতি জুলুম করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং রহমত না দেন তা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে গণ্য হবো।

রিন (ঋণ) মুক্তির জন্য উপরের দোয়াগুলোর গুরুত্ব ও ব্যাখা অপরিসীম।

দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্নারি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামাতি, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাসিহিদ্দাজ্জাল।

বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।

টয়লেটে যাবার দোয়া আরবি

বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিল্লাহি

বাংলা অর্থ- আল্লাহ তা’আলার নামে এবং তারই বরকতে শুরু করছি।

উপকার : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) উল্লিখিত দোয়া পাঠ করতেন।

নবজাতকের জন্য দোয়া

বাংলা উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি ওয়াহাবা লি আলাল কিবারি ইসমাঈলা ওয়া ইসহাক্বা। ইন্না রাব্বি লাসামিউদ দুআয়ি। রাব্বিঝআলনি মুক্বিমাস সালাতি ওয়া মিন জুর্রিয়্যাতি রাব্বানা ওয়া তাক্বাব্বাল দুআ। রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়্যা ওয়া লিলমু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।

বাংলা অর্থ- সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দোয়া শ্রবণকারী। হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব! আমার দোয়া কবুল করুন। হে আল্লাহ! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৯-৪১)

হারানো জিনিস ফিরে পাবার দোয়া

ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন পড়ে পড়ে খুঁজুন। ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবেন।

বিসমিল্লাহি ইয়া হাদিয়াদ দ্বালাল, ওয়া রা-দ্দাদ দ্বাল্লাহ; উরদুদ আলাইয়া দ্বাল্লাতি, বিইজ্জাতিক ওয়া সুলতানিকা; ফাইন্নাহা মিন আত্বায়িকা ও ফাদ্বলিক।

বাংলা অর্থ- আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার ওসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।

ইবাদতের মূল লক্ষ্য কি

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই হল ইবাদতের মূল লক্ষ্য। ইবাদতের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত রয়েছে। ইবাদতের পূর্বশর্ত হলো পবিত্রতা অর্জন করা। ইসলামী বিধি বিধান মেনে আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশিত পথে চলতে হবে।

ঘুমানোর সময় যে দোয়া পড়তে হয়

মুসলমানদের ঘুমাতে যাওয়ার সময় যে দোয়া পড়া উচিত-

আল্লাহুম্মা বি ইসমিকা আমুতুওয়া আহইয়া।

বাংলা অর্থ- আয় আল্লাহ! আমি আপনার নামেই মরি ও বাঁচি।

প্রতিরাতে ঘুমাবার আগে তওবা করার দোয়া

আসতাগফিরুল্লাহা হাল্লাযী লা—ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যু-মু ওয়া আতুবু ইলাহি।

বাংলা অর্থ: আমি সেই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জিব ও চিরস্থায়ী। তারই সমীপে তাওবা করছি।

 

যিনা থেকে তওবা(২০২৩) করার নিয়ম

পবিত্র ইসলাম ধর্মে বিবাহ বহির্ভূত বেগানা নারীপুরুষ সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে হারাম। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে উপরোক্ত গোনাহে লিপ্ত হয়ে গেলে, সাথে সাথেই অন্তর থেকে আল্লাহর নিকট তওবা করা কর্তব্য।

কারণ যিনা মারাত্মক পর্যায়ের কবীরা গোনাহ। এর মাধ্যমে আল্লাহর ক্রোধকে বাড়িয়ে দেয়া হয়। আর ইসলামী আইন অনুপাতে অবিবাহিত যিনাকারীকে প্রকাশ্যে একশত বেত্রাঘাত এবং বিবাহিত যিনাকারীকে প্রকাশ্যে প্রস্তর মেরে হত্যা করার বিধান।

তওবা করুন। হারামের সকল পথ বন্ধ করে দিন। এই পাপে পুনরায় পতিত হওয়ার সকল উপায় উপকরণ কর্তন করুন। এছাড়া বেশি বেশি নেক কাজ করুন।নেককাজ খারাপ কাজকে মুছে দেয়।

তওবা করার সঠিক নিয়ম ও দোয়া ২০২৩

প্রথমে ভাল করে অযু করে নেবেন অর্থাৎ উত্তমরূপে অজু করবেন। অজু করার পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বেন। নফল নামাজ পড়ার পর, পূর্বের কাজের জন্য লজ্জিত হবেন, অনুতপ্ত হবেন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকটে ক্ষমা চাইবেন এবং ভবিষ্যতে এমন পাপ করবেন না এই বলে দূর প্রতিজ্ঞ হবেন।

‘হে আল্লাহ, আমাকে জাহান্নামের শাস্তি হতে নাজাত দিন। হে আল্লাহ, আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন’।

হে আল্লাহআমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্সমূহ কেউই মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুণে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি তো মার্জনাকারী ও দয়ালু।

হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে হেদায়েত করেছআমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তুমি যাদেরকে নিরাপদ রেখেছ আমাদেরকে তাদের দলভুক্ত কর। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছআমাদেরকে তাদের দলভুক্ত করো। তুমি আমাদেরকে যা দিয়েছ তাতে বরকত দাও। তুমি যে অমঙ্গল নির্দিষ্ট করেছ তা হতে আমাদেরকে রক্ষা করো। কারণ তুমিই তো ফয়সালা কর। তোমার ওপরে তো কেউ ফয়সালা করার নেই। তুমি যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছসে কোনো দিন অপমানিত হবে না এবং তুমি যার সাথে শত্রুতা করেছসে কখনো সম্মানিত হতে পাবে না। হে আমাদের রব! তুমি বরকতময় ও সুমহান।

আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল থাকে,আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল। [সূরা ত্বহা-৮২]

যে কোন দোয়া কবুলের বা আল্লাহর নিকট পৌঁছানোর পূর্ব শর্ত হল দরুদ পাঠ করতে হবে।যে কোন দরুদ ৩/৭/১১বার যতবেশি পড়তে পারেন।

০১.আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মুহাম্মাদিও ওয়া’ আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা  ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইবরাহীমা  ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ। আল্লা হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বারাকতা  ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

০২. আল্লাহুম্মা সাল্লিা আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন্না বিয়্যিল উম্মিয়্যি।
হে আল্লাহ ! আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) যিনি সাধারণের ন্যায় শিক্ষা প্রাপ্ত নন, তাঁর ওপর রহমত অবতীর্ণ কর।

আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া বাংলা

‘আস্তাগফিরুল্লাহ। ‘ অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।

‘আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’

অর্থ: ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’ (আয়াতুল কুরসি)

দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ করতে পারেন। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)। সূত্র : specialpray blogspot

বিএনএনিউজ২৪/ বিএম, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ