19 C
আবহাওয়া
২:৪০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ১০ বছরেও সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি

১০ বছরেও সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি


বিএনএ, ঢাকা : ২০১২ সালের বছর ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রায়েরবাজারের নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ হত্যা মামলার বিচার, চার্জশিট তো দূরের কথা ১০ বছরে তদন্তই শেষ হয়নি। ৮৫ বার সময় নিয়েও তদন্তকারীরা আদালতে প্রতিবেদন দিতে পারেননি। ৮৬ বারের জন্য সময় চেয়েছেন।

পরিবারের অভিযোগ বিচার না পাওয়ার পেছনে হয়তো দুটি কারণ কাজ করেছে- হয় তদন্তকারী সংস্থা ব্যর্থ হয়েছে, না হয় এই ঘটনার সঙ্গে এমন কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত যা তদন্তকারীরা উদঘাটন করতে চান না।

গত ২৪ জানুয়ারি ছিলো এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ৮৫ তম তারিখ। জমা না দেয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত মামলার পরবর্তী প্রতিবেদন দেয়ার সময় ধার্য করেছেন ২৩ ফেব্রুয়ারি।  ওইদিন র‌্যাবের কোনো কর্মকর্তা আদালতে জাননি । জিআরওর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন।

এই মামলার জিআরও হলেন, সাব ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন। তিনি জানান,”আমার কাছে  যে মামলাগুলো আছে তার মধ্যে এই মামলাটিতেই সবচেয়ে বেশি সময় নেয়া হচ্ছে। আর কোনো মামলায় ৮৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে বলে আমার  কাছে কোনো তথ্য নেই। আমার অভিজ্ঞতায়ও এরকম ৮৫ বারেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারার ঘটনা দেখিনি। ফৌজদারি মামলায়  আমার অভিজ্ঞতায় এত সময় লাগে বলে আমি আর দেখিনি। হয়তো মামলাটা সেনসেটিভ তাই এত সময় লাগছে।”

রুনির ভাই নওশের রোমান জানান,”আমাদের সাথে এখন আর এই মামলা নিয়ে র‌্যাবের কেউ যোগাযোগ করেন না। গত বছর এইদিনে তারা একবার যোগাযোগ করেছিলেন। এবার তাও করেননি। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কে তাও আমরা জানি না।”

মূলত এখন মামলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফরেনসিক ও ডিএনএ টেস্টের নামে ঝুলে আছে। ছয় বছর আগে সেখানকার দুইটি বেসরকারি ল্যাবে এই টেস্টের জন্য নমুনা পাঠানো হয়  ।

র‌্যাবের সহকারী পরিচালক( মিডিয়া) এএসপি এ এন এম ইমরান খান বলেন,”আমরা এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ এবং ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। কবে পাব  বলতে পারছি না। সে কারণেই আমরা তদন্ত শেষ করতে পারছি না। আমাদের তদন্ত এখনো চলছে।”

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগের এই দিন ভোরেই পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির মরদেহ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের বিভিন্ন মহলের আশ্বাস ছিল, যত দ্রুতসম্ভব এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। বিচার নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু ১০ বছর পেরিয়ে এসেও বলতে গেলে এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার তদন্তের অগ্রগতি কিছুই হয়নি।

এই দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহির সারোয়ার মেঘের বয়স তখন মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর। এরপর দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ১০ বছর। মেঘ এখন সাড়ে ১৫ বছর বয়সের কিশোর। বিচার চাইতে চাইতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন রুনির মা। কিন্তু বিচার মেলেনি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার।

প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে। চার দিন পর ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে  তদন্তের ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। সেই দিন আদালত র‌্যাবকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র‌্যাব।

এই মামলায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিলো বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা  ইমরান খান। তবে তাদের সবাই জামিনে  ছাড়া পেয়ে গেছেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ