বিএনএ, ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেছেন, সরকার সমস্ত সংসদকে নিজেদের ইচ্ছামতো কুক্ষিগত করে নিয়েছে এই ভুয়া প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে । এটা আজকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
মঈন খান বলেন, আজকে জাতীয় সংসদের তিন’শ সিটের মধ্যে ২৯৯ সিটে কে বিজয়ী, কে জয়ী, কে পরাজিত সেগুলো নির্বাচনে নির্ধারিত হয় নাই…, এগুলো সব নির্ধারিত ঢাকার সর্বোচ্চ একটি টেবিলে সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আগেই নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে কে কত ভোট পাবে, কে কত শতাংশ ভোট পাবে এবং কোন সিট থেকে কে নির্বাচিত হবে। এটা আর এখন আমাদের কথা নয়, দেশে বিদেশে সমস্ত প্রমাণসহ আজকে এটা বিশ্ববাসীর কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে।
৫৭ দিন পর সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান গেইটে তালা চাবি পুলিশ থেকে না পেয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। গত ২৮ অক্টোবর এই কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেয়ার পর পুলিশ কার্যালয়ের নেতা-কর্মীদের বের করে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যায়।
বিকেল তিনটায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির ওপর দলের তৈরি সচিত্র তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। সেখানে কিভাবে ভোট কারচুপি করা হয়েছে, কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে, ভোটার বিহীন কেন্দ্রে সরকার দলীয় লোকজন কিভাবে ভোট বাক্সে ব্যালট পেপার ঢুকিয়েছে ইত্যাদি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অপতৎপরতা এবং দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত রিপোর্টসমূহ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, জয়নুল আবেদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
বিএনএ/ ওজি /এইচমুন্নী