বিএনএ, ঢাকা: দীর্ঘ ১০ বছর পর শুরু হয়েছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহের কাজ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে শুমারি কাজের উদ্বোধন করা হয়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চত্বর থেকে র্যালি ও তথ্য সংগ্রহের কাজের উদ্বোধন করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রথমবারের মতো ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ফুটপাতের ছোট দোকানি থেকে শুরু করে শিল্পপতি সবার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আজ থেকে ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সারাদেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবারের শুমারিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
এই শুমারি সফল করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে জনসচেতনতা বাড়াতেই র্যালির আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে বিশেষ ক্রোড়পত্রসহ নানা উপায়ে প্রচার কার্যক্রম।
র্যালিতে বিবিএস’র মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম শাকিল আখতার, ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ বিবিএসের সব পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
বিবিএস জানায়, অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে প্রায় ৭০টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তালিকার মাধ্যমে এক কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এবারের শুমারিতেই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত আছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে ধরা হবে।
মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে বিডিসিসিএল হয়ে বিবিএস সার্ভারে আসার আগ পর্যন্ত সংগৃহীত সকল তথ্য উপাত্ত গোপন অবস্থায় থাকবে। যার মাধ্যমে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী একদিকে তথ্য সংগ্রহে শুমারি কর্মীদের সহযোগিতা করা অন্যদিকে এই আইন দ্বারা জনসাধারণের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা হবে। এজন্য দেশবাসীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক শুমারি প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম শাকিল আখতার বলেন, ১০ বছর পর অর্থনৈতিক শুমারি শুরু হচ্ছে। শুমারি নির্ভুল ও স্বচ্ছ করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই দেশবাসীকে বলবো আমাদের গণনাকর্মীরা যাবে তাদের আপনারা তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
বিএনএনিউজ/বিএম/এইচমুন্নী