বিএনএ, রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটিতে চাঁদার জন্য একটি পর্যটকবাহী বোটে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ১০ নভেম্বর (শুক্রবার) কাপ্তাই হ্রদের কাইন্দারমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর থেকে বেড়াতে আসা ছয় পর্যটক মেঘের রাজ্য সাজেক থেকে ঘুরে গতকাল রাঙামাটি এসেছিলেন। শুক্রবার কাপ্তাই হ্রদে বোট নিয়ে ঘুরতে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হন। বোটে থাকা পর্যটকরা হলেন- অঞ্জন কুমার, সুমেন কুন্ডু, প্রণয় পাল, অনিক মজুমদার, প্রান্ত কর্মকার ও হিমু চন্দ্র দাশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ওসি মো. আরিফুল আমিন জানান, বোটে ৬ জন পর্যটক ছিল। তাদের উদ্ধার করে আনা হয়েছে। বর্তমানে সবাই নিরাপদে আছেন। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পর্যটকরা বলেন, সকালে সুবলং ঝর্ণায় যাওয়ার পথে কাইন্দারমুখ এলাকায় পৌঁছালে পাঁচজনের অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে বোট থেকে নামিয়ে দেয়। এতে তারা ভয় পেয়ে যান।
বোট চালক গিয়াস উদ্দিন জানান, পর্যটকদের নামিয়ে বোটসহ আমাকে পাশের একটি টিলায় নিয়ে গিয়ে বোটটি জ্বালিয়ে দেয়। পরে অন্য আরেকটি টিলায় আমাকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, তারা পাঁচজন ছিলেন এবং সবার হাতে অস্ত্র ছিলো। তারা বলেছে চাঁদা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কোন পর্যটকবাহী বোট যাতে সুবলং না যায়। পরে পর্যটকদের রাঙামাটি নিয়ে আসা হয়।
ট্যুরিস্ট বোটের মালিক আলাউদ্দিন টুটুল বলেন, আমি খবর পেয়ে বোটের স্থানে আসি, কেন বা কারা আগুন দিয়েছে সেটা জানি না। আমার সব শেষ।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়াল
রাঙামাটি ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, দুপুরে কাপ্তাই হ্রদের পেদা টিংটিং রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী ট্যুরিস্ট বোটটিকে থামায়। পরে বোট চালকের কাছে টাকা দাবি করলে সে টাকা দিতে না পারলে বোটে থাকা পর্যটকদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেন দুষ্কৃতিকারীরা। ঘটনার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ পর্যটকদের উদ্ধার করে আনেন। আক্রান্ত পর্যটকরা চাঁদপুর থেকে বেড়াতে এসেছিলেন।
বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/ বিএম