বিনোদন ডেস্ক: সিনেমাপ্রেমীদের স্বপ্নের নায়িকা, ঢালিউডের অনিন্দ্য সুন্দরী সাদিকা পারভিন পপি। আজ (১০ সেপ্টেম্বর) তার শুভ জন্মদিন। এক এক করে ৪৩ বছর পার করে ৪৪-এ পা দিলেন কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা। পপি ১৯৭৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে খুলনায় দাদাবাড়িতে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পপি বড়। পড়াশুনা করেছেন খুলনার মুন্নুজান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে।
স্কুলে পড়াকালীন ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী হিসেবে মিডিয়ায় তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি শহীদুল হক খান পরিচালিত ‘নায়ক’ নাটকে চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন।
সাদিকা পারভিন পপি ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে জগতে আবির্ভূত হন। ঢাকাই চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম আবেদনময়ী এই অভিনেত্রী এ পর্যন্ত বহু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে মেঘের কোলে রোদ, কি যাদু করিলা, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
এদিকে, চলতি বছরের শুরু থেকে আড়ালে রয়েছেন চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। মিডিয়ার কারও সঙ্গেই তার যোগাযোগ নেই। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারাও জানেন না পপি কোথায় আছেন।
পপির আড়ালে চলে যাওয়ার পর মিডিয়ায় অনেক খবরই চাউর হয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, তিনি এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, তিনি মা হতে চলেছেন। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মূলত পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধের কারণে তিনি আপাতত নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। সময় হলেই সবার সামনে আসবেন।
পপি অভিনিত ছায়াছবিগুলো হলো কুলি, আমার ঘর আমার বেহেশত, চারিদিকে শত্রু, দরদী সন্তান, বিদ্রোহ চারিদিকে, গুপ্ত ঘাতক, অনেক দিনের আশা, ভালবাসার ঘর, কে আমার বাবা, লাল বাদশা, জিদ্দী, দুজন দুজনার, জানের জান, হীরা চুনি পান্না, আমার বউ, দাম দিয়ে প্রেম যায়না কেনা, ক্ষেপা বাসু, ক্ষমতার দাপট, বস্তির রানী সুরিয়া, রানীকুঠির বাকী ইতিহাস ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি অসংখ্য বাংলা ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ