বিএনএ ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ ও চেতনা বিকাশে অবদান রাখা ব্যক্তি, সংগঠন ও সংস্থাকে সম্মানিত করার লক্ষ্যে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর এই পদক দেয়া হবে।সাত ক্যাটাগরিতে এ পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১’সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
যে সাত ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক দেয়া হবে,তা হলো:-
(১) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখা সংগঠন।(২) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।(৩) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন।(৪) মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা।(৫) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।(৬) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা(৭) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।এছাড়াও, সরকার নির্ধারিত অন্য যেকোনো ক্ষেত্রে এই পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পদক পাওয়ার যোগ্যতা:–ব্যক্তি পর্যায়ে এই পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশিদেরও এই পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।পদকের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে এমন হতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেওয়ার জন্য মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে তা জানানো হবে বলে প্রজ্ঞহাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি