বিএনএ, চুয়েট: অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশনের ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রণীত আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) কর্মবিরতির পাশাপাশি এবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কর্মচারীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১ টায় চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে তারা এই মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন । পাশাপাশি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।কর্মবিরতি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হলেও দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তারা। গত ৭ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছেন তাঁরা।
চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা দাবি আদায়ের জন্য আজ পুরো বিশ্ববিদালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছি এবং পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম ব্যাহত হলেও কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় রেখে দাবী না আদায় হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি আব্যাহত রাখব।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যাঁরা নতুন যোগ দেবেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুন চাকরিজীবীদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত কয়েকদিন ধরে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।
বিএনএ/ইয়াসির, এমএফ/এইচমুন্নী