31 C
আবহাওয়া
৪:৫৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাজধানীর অলিতে গলিতে চামড়া সংগ্রহের ব্যস্ততা

রাজধানীর অলিতে গলিতে চামড়া সংগ্রহের ব্যস্ততা

রাজধানীর অলিতে গলিতে চামড়া সংগ্রহের ব্যস্ততা

বিএনএ, ঢাকা: ঢাকায় ঈদের নামাজের পরপরই শুরু হয়েছে পশু কোরবানি। বরাবরের মত এবারও রাজধানীর পশু কোরবানি হচ্ছে রাস্তার পাশে আর অলিতে গলিতে। সেখানেই জবাই করা পশুর শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে আলাদা করা হচ্ছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও চামড়া কিনতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন।

রোববার (১০ জুন) সকাল থেকেই চলছে তাদের চামড়া সংগ্রহের তৎপরতা। পরে তা বিক্রি হবে চামড়ার পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে।

পোস্তার পাইকাররা সেই চামড়ায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণের প্রাথমিক কাজটি সেরে বিক্রি করেন ট্যানারিতে। ট্যানারি কেমন দামে চামড়া কিনবে, তা প্রতিবছর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিছু কিছু ট্যানারি ফড়িয়াদের মাধ্যমে সরাসরি কম দামেও চামড়া সংগ্রহ করে।

সরকারের বেঁধে দেওয়া দর অনুযায়ী, ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৪৭ থেকে ৫২ টাকায়। আর ঢাকার বাইরে এই দাম হবে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। এছাড়া লবণযুক্ত খাসির চামড়া সাড়া দেশে ১৮ থেকে ২০ টাকায় কিনবে ট্যানারি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গতবারের চেয়ে দাম বেড়েছে ৭ টাকা।

তবে ফড়িয়া বা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানি দাতাদের কাছ থেকে বর্গফুট হিসাবে চামড়া কেনেন না। আকার বুঝে মোটের ওপর একটি দাম তারা দেন। সেখানে কিছু লাভ রেখে তারা পাইকারদের বিক্রি করেন। পাইকাররা নিজেদের লাভ রেখে সরকারের ওই নির্ধারিত দরে বা তার বেশি দামে বিক্রি করেন ট্যানারিতে।

এদিকে প্রতি বছরের মতো সরকার লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য ৪৭ থেকে ৫২ এবং সারা দেশে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা বর্গফুট নির্ধারিত আছে।

গরুর আকৃতি ও ওজনভেদে চামড়ার পরিমাণ কমবেশি হয়। সাধারণত গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ২২ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ বর্গফুট পর্যন্ত হয়। আর ছাগল-খাসির চামড়ার গড়হার হচ্ছে সাড়ে ৪ বর্গফুট। এ বছর কোরবানি থেকে চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা প্রায় ৯০ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের আশা করছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুসারে, এ বছর গরু, ছাগল, ভেড়া ও উট মিলিয়ে ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি। এর মধ্যে কোরবানি হয় ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশুর।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ