28 C
আবহাওয়া
১২:২৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ২০২৪ সাল হবে সবচেয়ে গরম বছর

২০২৪ সাল হবে সবচেয়ে গরম বছর

এল নিনো

বিশ্ব ডেস্ক: এল নিনো ফের শুরু হয়ে গেছে বলে মার্কিন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞানীদের শঙ্কা, চরমভাবাপন্ন এই আবহাওয়ার জন্য ২০২৪ সাল হতে পারে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রত্যাশিত এল নিনোর ঘটনা এসেছে।

এদিকে চলমান এল নিনোতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই প্রভাব ফেলবে এল নিনো। এল নিনোর প্রভাবে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা দেবে খরা, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাবে এবং ভারত মানে এই অঞ্চলের বৃষ্টিপাত অনেক কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া সতর্ক করে দিয়েছিল, এল নিনোর প্রভাবে দাবানলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশটিতে শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়া থাকতে পারে।

এশিয়ার দেশ জাপানও দেশটিতে সবচেয়ে উষ্ণ বসন্তের জন্য জলবায়ুর এই ধরনকে আংশিকভাবে দায়ী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে যদিও গ্রীষ্মকালে এল নিনোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম থাকে। কিন্তু এনওএএর মতে, দেশটিতে শরতের শেষ থেকে শুরু করে বসন্ত পর্যন্ত এল নিনো শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে।

বিবিসি জানিয়েছে, চলমান এল নিনো সম্ভবত পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। পরে ধীরে ধীরে প্রভাবগুলো কমে আসবে। কয়েক মাস ধরেই গবেষকরা বুঝতে পারছিলেন, প্রশান্ত মহাসাগরে একটি এল নিনো আসতে চলেছে।

এ ব্যাপারে ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ অ্যাডাম স্কাইফ বলেছেন, ‘এটি এখন ডালপালা মেলছে। আমাদের কয়েক মাসের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, চলমান এল নিনো আরও তীব্র হয়ে চলতি বছরের শেষ দিকে চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে।’

২০২৪ সাল চলমান এল নিনোর প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রায় সম্ভবত নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অ্যাডাম স্কাইফ।

বিশ্বে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মূলত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। গরম, ঠাণ্ডা বা নিরপেক্ষ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে, সেই পর্যায়কে বলা হয় এল নিনো। আর বৈশ্বিক তাপমাত্রা যে পর্যায়ে কমতে থাকে, আবহাওয়ার সেই অবস্থা বলা হয় লা নিনা।

সাধারণত দুই থেকে সাত বছর পর দেখা দেয় এল নিনো। আর যে বছর এল নিনো শুরু হয়, তার পরের বছরে তীব্র গরম অনুভূত হয়। এর আগে ২০১৫ সালে এল নিনো দেখা দেয়। ফলে ২০১৬ সালে বিশ্বেরেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ