বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটে হেরে যাওয়ার আগমুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ছেড়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ত্যাগ করেন। পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা ফয়সাল জাভেদ খান এ কথা জানিয়েছেন।
রোববার (১০ এপ্রিল) টুইটারে ফয়সাল জাভেদ খান বলেন, অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার কয়েক মিনিট আগে সরকারি বাসভবন থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে তিনি সদয়ভাবে বেরিয়ে যান।
চলতি মাসের ৩ তারিখ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। তবে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন, বিরোধীদের আনা প্রস্তাব আসলে ‘বিদেশি চক্রান্ত।’ ডেপুটি স্পিকারের এই পদক্ষেপের পরপর ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন। ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। টানা চার দিন চরম নাটকীয়তার পর বৃহস্পতিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু হয় পার্লামেন্টে। কিছুক্ষণ পর স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশন মূলতবির সিদ্ধান্ত নেন। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অধিবেশন পুনরায় শুরু হয়। পরে জানানো হয়, ইফতারের বিরতির পর রাত ৮টার দিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
ইমরান খানের অনুগত হিসেবে পরিচিত স্পিকার আসাদ কায়সার ও ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি অনাস্থা প্রস্তাবের ভোট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে রাতেই পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের আগে অধিবেশনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর এমপি আয়াজ সাদিকের কাছে ন্যাস্ত করেন আসাদ কায়সার।
স্থানীয় সময় রাত ১২টা ০২ মিনিটে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর অধিবেশন শুরু হয়।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ