22 C
আবহাওয়া
১:৩৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান

অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান


বিএনএ বিশ্বডেস্ক : সংসদে  অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানে ইমরান খান সরকারের পতন হয়েছে। শনিবার দিনভর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে মধ্যরাতে গিয়ে সংসদে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৭৪টি। ৩৪২ আসনের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন অনলাইন এ তথ্য নিশ্চিত করে।  তাঁর ক্ষমতাচ্যুতির মধ্য দিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না। তবে তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান।

পাকিস্তানের সময় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেশটির পার্লামেন্টে ইমরান খানের ভাগ্যনির্ধারণী অধিবেশন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তা মুলতবি করা হয়। এরপর জোহরের নামাজের বিরতি, পরে বসে আবার দুদফায় ইফতার ও এশার নামাজের বিরতি দেওয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দুঘণ্টা বিলম্বে শুরু হয় অধিবেশন। শুরুতেই স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। প্যানেল চেয়ারম্যান আয়াজ সাদিককে আহ্বান জানানো হলে তাঁর নেতৃত্বেই ইমরানের ওপর অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। তবে প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ায় নিজে ভোট দিতে পারেননি আয়াজ সাদিক।

পিএমএল-এন মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, সভাপতিত্ব করায় সাদিক তার নিজের ভোট দিতে পারেননি আর ইমরানের দল পিটিআইয়ের ভিন্নমতের এমপিরা ভোটদানে বিরত থাকেন।

ফলাফল ঘোষণার পর সাদিক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধী দলীয় প্রার্থী শাহবাজ শরীফকে কথা বলার ফ্লোর দেন। শাহবাজ শরীফ সম্মিলিত বিরোধী নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন ‘রাজনীতির নতুন যুগে’ প্রতিহিংসা থাকবে না।

এরপর পার্লামেন্টে কথা বলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেন, গত তিন বছর গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না। তিনি ‘পুরাতন পাকিস্তানে’ সবাইকে স্বাগতম জানান।

গত ৭ মার্চ জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় বিরোধীদলগুলো। এরপর ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার। প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির জন্য ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।

পরে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বলেছিলেন, এ অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এরপর ইমরানের আহ্বানে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

এরপর ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেন। এ ছাড়া বিরোধীরাও সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। এরপর ৩ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পার্লামেন্ট ও সরকার পুনর্বহাল হয়। ৯ এপ্রিল (শনিবার) অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিরও নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। সে অনুযায়ী নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে শনিবার সারা দিন পার করে দিনগত রাতে ভোটাভুটি হয়।

বিএনএ/ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ