বিএনএ ডেস্ক :বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী! এমন শিরোনাম দেখেই কী চমকে ওঠেছেন? রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি এমন শিরোনামে চমকে ওঠারই কথা। তবে পরিস্থিতি সেদিকে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
কেননা, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোন দল। তবে বিপুল সংখ্যক আসনে বিজয়ী হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ফলে দেশটিতে নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে।
এই অবস্থায় পিটিআই অন্যদের সহায়তায় ১৩৪ আসনের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবেন নাকি পিএমএল-এন ও পিপিপিকে সরকার গঠনের সুযোগ দিবেন তা নিয়ে ধোয়াঁশা রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা দমন-পীড়নে পিটিআই এর এমন ফলাফল অপ্রত্যাশিত। দলটি এখন কী চমক দেখাবে তার দিকে চোখ রয়েছে রাজনৈতিক সচেতন মহলের।
সার্বিক পরিস্থিতে পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান, আসাদ কায়সার, আলি মুহাম্মদ খান এবং অন্যদের নিয়ে বৈঠক কারার সিদ্বান্ত নিয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল পিটিআই কী করতে যাচ্ছে। তবে গেজেট প্রকাশ হওয়ার ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্বতন্ত্র সদস্যরা কোন দলের সঙ্গে থাকবে সেই বিধান রয়েছে পাকিস্তানের সংবিধানে। ফলে পিটিআই নিজস্ব দলীয় প্রতীক না থাকায় নতুন করে জটিলতায় পড়েছে ইমরনান খানের দল।
এর আগে৯ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার গোহর খান পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সাথে জোট গঠন করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে দলটি।
এদিকে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফ পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিআসিফ আলী জারদারির সাথে দেখা করে পিএমএল-এন – পিপিপি ৪৫ মিনিটের এক বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছেন। আসিফ আলী জারদারি তাদের পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পিপিপির শীর্ষ মুখপাত্র খুরশিদ শাহ বলেছেন, ‘নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। এজন্যই জোট গঠনের তৎপরতা চালাচ্ছেন। জোট সরকারের অংশ হতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা তাকে (নওয়াজ) প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চাই না। আমরা চাই, পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন আমাদের দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।’
এই অবস্থায় সরকার গঠন নিয়ে পিএমএল-এন ও পিপিপি এক মঞ্চে এলেও প্রধানমন্ত্রী নিয়ে বিরোধ রয়েছে। পিপিপি দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। দলটি দেশের ভিতরে ও বাইরের পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চায় ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, সরকার যে দলই গঠন করুক না কেন নতুন পালামেন্ট হবে পরনির্ভরশীল। ঝুলান্ত এই পালামেন্ট আগামী ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করবে এবং একটি স্থিতিশীলতা মধ্য রাষ্ট্র শাসন করবে এমন নিশ্চায়তা নেই।
বিএনএ/ ওজি