বিএনএ,ঢাকা: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঋণ নেওয়া ১৪ প্রতিষ্ঠানের নথি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক। গত ৮জুলাই দুদকের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়। দুদকের চিঠি পাবার সাত কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা যায়, চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণের নামে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা, জুবলী রোড ও চাকতাই শাখা থেকে এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছিল।
একই চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার গুলশান করপোরেট, রাজশাহীর দুটি এবং পাবনা শাখা থেকে আলোচিত গ্রাহক নাবিল গ্রুপের ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ঋণের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ২০২২ সালে অনুমোদিত ঋণ ছিল ১১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো– নাবিল নাবা ফুডস, নাবিল কোল্ডস্টোরেজ, নাবিল ফিড মিলস, নাবিল অটো রাইস মিলস, নাবিল অটো ফ্লাওয়ার মিলস, শিমুল এন্টারপ্রাইজ, নাবা অ্যাগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নাবা ফার্ম লিমিটেড, নাবিল গ্রিন ক্রপস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট প্যালেস।
এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ইসলামী ব্যাংক একাই দিয়েছে ৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। আর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ১২০ কোটি এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
দুদকের চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো– ওই ঋণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন/অডিট প্রতিবেদনের সত্যায়িত ফাটোকপি। এ ছাড়া অনুসন্ধানকালে প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
ওই ঋণ মঞ্জুরের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা, আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রস্তাবনা, শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণসংক্রান্ত নোটশিট, ক্রেডিট কমিটির বোর্ড/ইসি মেমো, বোর্ড/নির্বাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণীর (হাজিরাসহ) সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়েছে। সূত্র: সমকাল
এসজিএন