বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সাময়িকী ল্যানসেটের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চলমান অভিযানে গত ৯ মাসে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৮৬ হাজার। যদিও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তা ৩৮ হাজারেরও বেশি বলে জানিয়েছে।
ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে যারা সরাসরি অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন, তাদের তুলনায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মৃতের সংখ্যা বেশি থাকে। গাজায় গত ৯ মাসে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর অভিযানে যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে, তাতে এই মুহূর্তে যদি যুদ্ধ বন্ধও হয়, তাহলেও আরও বেশ কিছুদিন গাজায় মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত থাকবে।
এদিকে আলজাজিরা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহরের কিছু অংশ ফের খালি করার আদেশ জারি করার পরে রোগী এবং কর্মচারীরা আল-আহলি আরব হাসপাতাল এবং বেনেভোলেন্ট সোসাইটি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তাদের যুদ্ধবিমানগুলি মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এলাকায় “একটি স্কুল কমপ্লেক্স” আক্রমণ করেছে।
অন্যদিকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের “গণহত্যা, হত্যা ও বাস্তুচ্যুতি” অব্যাহত থাকলে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য “বিপর্যয়কর পরিণতি” সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সোমবার কায়রোতে মিশরীয়, ইসরায়েলি, জর্ডান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি আলোচকদের বৈঠকের পর মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে “আমরা যতটা সম্ভব মত ব্যবধান বন্ধ করার চেষ্টা করছি”।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৮,১৯৩ জন নিহত এবং ৮৭,৯০৩ জন আহত হয়েছে। হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১১৩৯। কয়েক ডজন লোক এখনও গাজায় বন্দী রয়েছে।
এসজিএন/হাসনা