বিএনএ, ফেনী: ছাগলনাইয়ায় সিএনজি অটোরিকশার সিরিয়াল নিয়ে তর্কের পর লাইনম্যান মো. হারুনকে (৫৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে সিএনজি চালক বেলাল হোসেন ও তার পুত্র বাপ্পি। পুলিশ বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
রোববার দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে ফেনী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের মৌবন হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে যানা জায়, সিএনজি সিরিয়াল নিয়ে তর্কবির্তকে লাইনম্যান হারুনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বেলাল ও তার পুত্র বাপ্পি।
আহত অবস্থা স্হানীয়রা তাঁকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় পরবর্তীতে অবস্হার অবনতি হলে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত মো. হারুন পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের হাজ্বী পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে এবং বেলাল হোসেনের নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ধর্মপুর সিরাজুল ইসলামের ছেলে। বেলাল হোসেনের ছেলে বাপ্পি (২০)।
নিহত স্ত্রী আয়েশা আক্তার বললেন, আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে বেলাল ও তাঁর ছেলে লাঠি দিয়ে খুন করেছে। আমি তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় পলাশ জানান,গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে লাইনম্যান ও সিএনজি ড্রাইভারের তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হারুন নামের একজন লোককে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মারা যায়। বর্তমানে হারুনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে। হামলার খবর তাৎক্ষনিক আমি আমার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান আসামী বেলাল হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।অপর আসামী বাপ্পিকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন,ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেলালের ছেলেকে আটক করা হবে।সুষ্ঠু তদন্ত মাধ্যমে হত্যাকারীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।ঘটনার পর তাৎক্ষনিক নিহত হারুনের পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রী সন্তানদের শান্তনা দেন এবং ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন সোহেল চৌধুরী। এদিকে সিএনজি লাইনম্যান হারুন হত্যার ঘটনায় চালকদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
বিএনএ/নিজাম, এমএফ