25 C
আবহাওয়া
৯:৩০ পূর্বাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সামনে ডেঙ্গু রোগী আরও বাড়তে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সামনে ডেঙ্গু রোগী আরও বাড়তে পারে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভুটানের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিএনএ, মানিকগঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত বছর এই সময় ডেঙ্গুর ভালো অবস্থা ছিল। তবে এ বছর ডেঙ্গু রোগ বেশি বেড়ে গেছে। সামনের আরো দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী বাড়তে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে।

রোববার (০৯ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়া নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু অনেক বেড়েছে। এরই মধ্যে ৬৭ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আরও ১২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং আড়াই হাজার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্নস্থানে পানি জমাট বেঁধে মশার বংশ বিস্তার ঘটেছে আর এতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি বলেন, আশঙ্কাজনক বিষয় হচ্ছে এখন দেশের সবগুলো জেলার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান হচ্ছে- দেশের ৫৭টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে গেছে। দেশে যত ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে তার মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি। সারাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ ভাগই ঢাকার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলা করে চলছি। সিটি করপোরেশন, পৌরসভাকে আহ্বান করছি, তারা যেন বেশি বেশি করে স্প্রে করে। শহরের যেসব স্থানে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে থাকে এবং বসত বাড়ির উঠানে যে পানি জমে তা অপসারণ করতে হবে। এই পানি অপসারণ না করলে ডেঙ্গুর আরও ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। আমি মনে করি সকলে মিলে কাজ করলে এই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে বহুতল ভবন আছে সেখানে ডেঙ্গু বেশি দেখা দিচ্ছে। কারণ সেসব ভবনের নিচে গ্যারেজ এবং ফ্লাটে ফুলের টবে পানি জমে থাকে। সে জন্য শুধু সরকার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, পাশাপাশি জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। যার যার বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করতে হবে এবং যেখানে মশা জন্ম নেয় সেখানে স্প্রে করে লার্ভা ধ্বংস করতে হবে। গত বছর এ সময় অনেক ভালো অবস্থায় ছিলাম। বর্তমানে মশা এবং ডেঙ্গু অনেক বাড়তি। এখন থেকে যদি আমরা সজাগ না হই তাহলে এটা আরও বেড়ে যাবে।

আমাদের ডিপার্টমেন্টে যারা মশা নিয়ে গবেষণা করেন তারা জানিয়ে দিয়েছেন কোথায় কোথায় মশা ভেসে আছে এবং ঘনত্ব বেশি আছে। এখন বাকি কাজটুকু সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন স্প্রে করেছে কিন্তু আমার কাছে মনে হয় তারা সেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। যার ফলে ডেঙ্গু এত বেড়েছে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে কি ব্যবস্থা আছে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে এবং ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওষুধপত্রের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। হাসপাতালগুলোতে এখনও সিট খালি আছে। আশা করি চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার প্রমুখ।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ