30 C
আবহাওয়া
১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ - মে ১৫, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » কর্ণফুলী আ.লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কর্ণফুলী আ.লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কর্ণফুলী আ.লীগের সভাপতি ফারুক চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা গ্রামে প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত ২৫ মার্চ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) মো. ইব্রাহিম খলিল এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন—ফারুক চৌধুরী (৫৫), ইয়াছিন আরাফাত (৩৪), মো. মনির (৩০), হাসমত (৪৫), হায়দার কবির আইনান (২৫) ও মো. বাহাদুর খান (৩০)। একই মামলার অন্য আসামি মো. রফিক জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর চরলক্ষ্যা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও যাত্রীদের মারধরের অভিযোগে রেজাউল করিম (৫০) নামের এক ব্যক্তি কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

তবে মামলার তদন্ত নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চার্জশিটে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানির অভিযোগ ওঠে। বাদী নিজেও স্বীকার করেন, চার্জশিটে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১১ জন ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না।

চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত ১১ জনের নাম বাদ দিতে গত বছরের ৩ নভেম্বর বাদী আদালতে আবেদন করলেও সেটি কেবল নথিভুক্ত হয়, আদেশ দেওয়া হয়নি। বাদী তার আবেদনে উল্লেখ করেন, পুলিশ ভুলভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করেছে।

প্রাথমিক আসামির তালিকায় ছিলেন—ইকবাল, দেলোয়ার হোসেন সাইদী, আরমান হোসেন, আবছার, রুবেল, ফয়সাল, সোহেল, শাহজাহান, মামুন, তাহের, আজম খান, জসিম উদ্দিন, তারেক হাসান জুয়েল, গিয়াস উদ্দিন মধু, মোক্তার হোসেন হিরু প্রমুখ। ঘটনার দিনই পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে, পরে তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এর মধ্যে থেকেই মামলার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বাদীপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করে।

পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, একই ঘটনায় একাধিক মামলা হওয়া আইনসম্মত নয়। সংবিধানের ৩৫(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তিকে একই অপরাধে একাধিকবার বিচারের সম্মুখীন করা যাবে না।

অন্যদিকে একই ঘটনার সূত্র ধরে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর একটি হত্যা মামলার সাক্ষীদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন চরলক্ষ্যা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেন সাইদী। তার অভিযোগ, তিনি একটি পুরোনো হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় প্রতিশোধমূলকভাবে হামলার শিকার হন।

এই মামলায় আসামি করা হয়—ইমরান হোসেন বাবলু, রবিউল হোসেন, রেজাউল করিম, মো. হাসান, মাঈনুল ইসলাম ও নুরুল আলম খোকনকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সরাসরি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ওসিকে নির্দেশ দেন।

তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলাম কারা নিরপরাধ। কিন্তু তিনি তা আমলে নেননি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরীফ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কেবল চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করেছি। মামলার পূর্ববর্তী তদন্ত সম্পর্কে অবগত নই।’

বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী

Loading


শিরোনাম বিএনএ