বিএনএ, ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের টেলিকম সেবা থ্রিজি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় থ্রিজির কোনো প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যে সেবা গুটিয়ে নিচ্ছে রবি, যা শেষ হবে ২০২৩ সালেই। ওই বছর থেকে থ্রিজি সেবা সরিয়ে নেওয়া শুরু করবে গ্রামীণফোনও। আনুষ্ঠানিক দিনক্ষণ না জানালেও বৃহৎ দুই অপারেটরের পথে হাঁটছে বাংলালিংক ও টেলিটকও।
একজন গ্রাহক থ্রিজি সেবায় সেকেন্ডে দুই এমবিপিএস গতি পান। সেখানে ফোরজিতে সর্বনিম্ন গতি সাত এমবিপিএস। ইতোমধ্যে দেশের সব টাওয়ারকে রূপান্তর করা হয়েছে ফোরজিতে। আবার বাজারে থ্রিজি ও ফোরজি হ্যান্ডসেটের দামও প্রায় কাছাকাছি। অথচ ফাইভজির আগমন ও ফোরজির দাপটে মাত্র ৮ বছরের মাথায় অস্তিত্ব হারাচ্ছে তৃতীয় প্রজন্মের টেলিকম সেবা।
ইতোমধ্যে গ্রাহককে থ্রিজি হ্যান্ডসেট পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে প্রথম অপারেটর হিসাবে থ্রিজি সেবা বন্ধ করছে রবি। রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, আমরা আশা করছি, ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা থ্রিজি সেবা বন্ধ করতে পারব।
তবে কিছুটা সময় নিয়ে থ্রিজি অপসারণের কাজ শুরু করতে চায় অন্য তিন অপারেটর। থ্রিজি সেবা বন্ধ করার বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, একসময় আমাদের থ্রিজি সেবা বন্ধ করতে হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা এটি বন্ধ করে দেব।
উল্লেখ্য, মোবাইল অপারেটরদের তথ্য মতে, বর্তমানে বিশ্বের ৭৮টি দেশ ইতোমধ্যে থ্রিজি সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনএ/এমএফ