বিএনএ, চবিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাসে ফেরার চলমান আন্দোলন শততম দিনে গড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিগত দিনের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারি চারুকলার শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বগি ভিত্তিক সংগঠন ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও বাংলার মুখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যানার, ফেস্টুন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি কর্মরত সাংবাদিকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠে।
এর কিছুক্ষণ পরে শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনার ছাড়তে বাধ্য করে নেতাকর্মীরা। এতে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পরে আবার তারা তাদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে প্রক্টর অফিসের সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকে।
চারুকলার ২০১৮-১৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী পায়েল দে বলেন, আজ আমাদের আন্দোলনের শততম দিন। বিগত দিনের মতো আজকেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিলাম। হঠাৎ করে একদল লোক এসে আমাদের থেকে ব্যানার, ফেস্টুন কেড়ে নেয় এবং আমাদের আন্দোলন বন্ধের জন্য হুমকি দিয়ে শহীদ মিনার থেকে বের করে দেয়। আমি মনে করি তারা প্রশাসনের মদদে এটা করেছে। আজকে সেই শিক্ষক, প্রশাসন কোথায় যারা বলে শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো? আজকে আমরা লাঞ্ছিত, মার খাচ্ছি তারপরও প্রশাসনের কোন ধরনের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেই।
হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ভিএক্স গ্রুপের নেতা মারুফ আহমেদ বলেন, চারুকলার আন্দোলনের আমাদের কিছু ছেলে অংশগ্রহণ করেছিল। তাদেরকে আন্দোলন থেকে ফিরিয়ে নিতেই ওখানে গিয়েছিলাম। তাদেরকে ছাড়া আমরা অন্য কাওকে বাধা দেয়নি। সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিককে প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থী মনে করেছিলাম। তাই ভিডিও ডিলিট করতে বলি। কিন্তু তিনি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন তখন আমরা আর কিছু বলি নি।
হামলার বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/ সুমন, এমএফ