বিএনএ,ঢাকা:চলতি মাসের শেষে কোভ্যাক্স সুবিধায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।এ দফায় বাংলাদেশ ১ লাখ ৩১ হাজার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার(০৯ ফেব্রুয়ারি)ভ্যাকসিন দান কর্মসূচির তৃতীয় দিনে ঢাকা মেডিকেলের কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন,সেরামের কাছ থেকে কেনা ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে।সেইসঙ্গে কোভ্যাক্স গাভি অ্যালায়েন্সসহ ফাইজারের পাওয়া যাবে।সব মিলিয়ে ভ্যাকসিনের কোনো সঙ্কট হবে না।ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি দূর হয়েছে।প্রতিদিন ৫শ জনকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও এখন তা ৭শ ছাড়িয়ে যাচ্ছে।রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।মানুষের লাইন আছে,একের পর এক আসছে এবং ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা নেই।সবাই জানিয়েছেন,ভ্যাকসিন নেয়ার পর কোনো অস্বস্তি বোধ করছেন না তারা।সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়ে গেছে।বয়স্ক এবং নিবন্ধনে অক্ষম ব্যক্তিদের কোন কোন হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।বয়স্কদের অনস্পট নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান স্বাস্থ্য সচিব।
সে সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.এবিএম খুরশিদ আলম বলেন,একটা ফাইলে ১০ ডোজ থাকে,১০ জন না হলে সেটি নষ্ট হবে।যে সমস্ত জায়গায় এটা ঠিকমতো মানা হবে না সেখানে নষ্টের পরিমাণটা বেশি হবে।তবে হিসাব করে দেখা গেছে যে,এটি এখনও ১০ শতাংশের মতো হয়নি।প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে টিকাদান কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে প্রতিদিন ভ্যাকসিন নিতে আসছেন ৭শ’র বেশি মানুষ।চিকিৎসক-নার্সদের পাশাপাশি কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের পর ভ্যাকসিন নিতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি