বিএনএ, জামালপুর : তিন যুগেও জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মালপাড়া ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। ফলে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে এলাকার জনসাধারণ।
একই কারণে গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়, নাপিতেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাইবান্ধা কাছিমূল উলূম কওমি হাফিজিয়া মাদরাসা শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে।
নাপিতেরচর, মরাবন, মালপাড়া, ডাকপাড়া, আদর্শগ্রাম, চন্দনপুর, ফুলারচরসহ আশেপাশের দশটি গ্রামের মানুষ এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে আসা-যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজান জানান, মালপাড়া খালের ওপর ব্রিজ থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি জনসাধারণের কোন কাজেই আসছে না।
গাইবান্ধা কাছিমূল উলূম কওমি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী আব্দুল খালেক জানায়, ব্রিজটি চালু না থাকায় বন্যা মৌসুমে চলাচলের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। সংস্কার হলে গ্রামবাসী দুর্ভোগ অনেক কমবে।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ মাহমুদ মিয়া জানান, ‘১৯৮৫ সালে আমি ইউপির চেয়ারম্যান থাকাকালীন ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি বিভাগ। ৩৬ বছরেও ব্রিজের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় পারাপার হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাইকেল, মোটরসাইকেল ও মালবোঝাই ভ্যান গাড়ি তো দূরের কথা ব্রিজটির ওপর দিয়ে হেঁটেও চলাচল করা যায় না।
গাইবান্ধা সুরুজ্জাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন জানান, ব্রিজটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজ দিয়ে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য। দ্রুত ব্রিজটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা প্রয়োজন।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান আনছারী জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করবেন এমনটি প্রত্যাশা করি।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল হক জানান, ব্রিজটির উভয় পাশে সংযোগ রাস্তা না থাকার বিষয়টি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ৩৬ বছর আগে নির্মিত ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএ/ এম শাহীন আল আমীন, ওজি